রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিম এশিয়ায় বড় ধরনের সামরিক সংঘাত হবে না। তবে যদি এ ধরনের সংঘাত হলে বিশ্বের জন্য একটা বিপর্যয়কর অবস্থা নেমে আসবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) মস্কোয় জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ শুরু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের নিজেদের দেশ ছেড়ে শুধুমাত্র ইউরোপের দিকে পাড়ি জমাবে তাই নয়, বরং অন্য অঞ্চলেও যাবে। এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুতিন-মেরকেল দুজনই ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা রক্ষা এবং তা বাস্তবায়নে জোর দেন।
তেহরানের কাছে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে অ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ইরানের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি এ দুর্ঘটনাকে একটি ‘নাটকীয় ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ও জার্মানি আরও আলোচনা করবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ও মেরকেল দুজনই বলেন, সিরিয়ায় চলমান সংঘাত রাজনৈতিক উপায়ে নিরসন করতে হবে। সিরিয়া পুনর্গঠনে সব প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দায়িত্বশীল অংশ নেয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন পুতিন।
খুব কমই রাশিয়া সফরে আসেন জার্মান চ্যান্সেলর। সেক্ষেত্রে অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের এই সফরকে আন্তর্জাতিকভাবে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের অনেকেই ধারণা করছেন, জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের এই সফরে যেসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা কোনো সাধারণ বিষয় ছিল না। সে কারণে বিষয়গুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো ভেন্যুতে আলোচনা হতে পারতো। কিন্তু তা না হওয়ায় এ সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নের ইঙ্গিত বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।