গরম গরম খিচুড়ি আহ্! মনে পড়লেই জিভে জল এসে যায়। নানারকমের ডাল, সবজি দিয়ে ভিন্য স্বাদের খিচুড়ি রান্না করা যেতেই পারে। খিচুড়ি খেতেও যেমন ভালো আর স্বাস্থ্যের পক্ষেও তেমন উপকারি।
আবার অনেকে হয়তো খিচুড়ি খেতে তেমন পচ্ছন্দ করেন না। তবে মটন কিমার খিচুড়ি খেয়ে দেখবেন, সত্যিই অসাধারণ। এই পদটিতে বাসমতি চাল, ঘি, গরম মশলা আর বেরেস্তার সংযোগে এই রান্নার সুবাস সত্যিই অতুলনীয়। কথায় বলে না ঘ্রাণেন অর্দ্ধ ভোজন!
মটন কিমার খিচুড়ি
৪ জনের জন্য
প্রস্তুতির সময়: ১ ঘন্টা
রান্নার সময়: ৩০ মিনিট
উপকরণ কিমার জন্য
মটন ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি (একটা বড়), আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরে গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়ো এবং নুন পরিমাণ মতো,
খিচুড়ির জন্য
বাসমতি চাল ৫০০ গ্রাম, ভাজা মুগ ডাল ১ কাপ, মটরশুঁটি ভাপানো ১ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, গোটা জিরে ১ চা-চামচ, শুকনো লঙ্কা ৪টি, তেজপাতা ৪টি, গোটা এলাচ, গোটা গরম মশলা, ঘি ২ টেবিল-চামচ, বেরেস্তা ১/২ কাপ, সরষের তেল ৮ টেবিল-চামচ
প্রণালী
কড়াইতে ৩ টেবিল-চামচ তেল দিন। তেল গরম হয়ে গেলে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিন। এর পর জিরে গুঁড়ো দিয়ে সামান্য একটু জল দিয়ে দিন। নুন, হলুদ আর কিমা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে নিন।
খিচুড়ির জন্য আবার কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজ পাতা আর গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। এর পর শুকিয়ে রাখা চাল দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। তাতে আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো দিয়ে আর একটু ভেজে নুন আর হলুদ দিয়ে দিতে হবে। এ বার কষানো কিমা দিয়ে ৮ কাপ জল দিন। চাইলে আরও জল দিতে পারেন। খিচুড়ি ফুটতে থাকলে আঁচ একদম অল্প করে কড়াইয়ের মুখ ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। চাল এবং কিমা সেদ্ধ হয়ে গেলে ভাপানো কড়াইশুঁটি দিয়ে দিতে হবে। এর পর উপর থেকে ঘি এবং বেরেস্তা দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি কিমার খিচুড়ি।