ভোলা থেকে এক কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে নাইমুল নামে এক যুবক। ওই কিশোরীকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামে লুকিয়ে রাখে। পরে সেখানেই বিয়ে করার তোড়জোড় শুরু হয়।
তবে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সাংগর গ্রামে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোলার বেতোরিয়া থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক এই মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে নাইমুল। এরপর রাজাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মেয়েটিকে লুকিয়ে রেখে তাকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে।
মঙ্গলবার উপজেলার সাংগর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মো. নাইমুল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নাইমুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নাইমুল উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলগী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মোক্তার হোসেন জানান, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার উপজেলার সাংগর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মো. নাইমুল হাওলাদারকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।