অনলাইন ডেস্ক :: প্রশাসনের নির্দেশে সারা দিন বন্ধ থাকার পর ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে লঞ্চ চলা শুরু হয় জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল ছয়টা থেকে ভোলা জেলা প্রশাসন লঞ্চ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। এ দিকে লঞ্চের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল শুক্রবার বিকাল পর্যন্তও শুরু হয়নি। সারা দিন লঞ্চ ও বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
ভোলায় বিআইডব্লিউটিসির সহকারী পরিচালক মো. কামুরুজ্জামান বলেন, “ভোলার জেলা প্রশাসক ও বরিশালের ডিআইজির অনুরোধে আমরা সকাল থেকে ভোলা-বরিশাল লঞ্চ বন্ধ রেখেছিলাম। জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ায় বিকাল তিনটায় আবার চলাচল শুরু হয়েছে।”
এদিকে বাস চলাচল বিকালেও শুরু হয়নি জানিয়ে ভোলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কালাম বলেন, “জেলা প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করেছিল। সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ কোনো রুটে বাস চলেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকালের পর বাস চলবে।” তবে, জেলা প্রশাসনের কেউ এ নির্দেশনা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস ও লঞ্চ বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর থেকে সেগুলো স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এক হিন্দু তরুণের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কথিত ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে গত ২০ অক্টোবর বোরহানউদ্দিনে ডাকা এক সমাবেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত লোক জড়ো করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সেখান থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয় এবং সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন।
সে ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার দোয়া মাহফিল ডেকেছিল সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রশাসন তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে। পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে প্রশাসন মৌখিকভাবে তাদের অনুমতি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দেয়। অনুমতি না পাওয়ায় তারা তাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের সঙ্গে আলোচনা করে দোয়ার কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শুক্রবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও সেদিনের মতো যাতে লোক জড়ো করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ কেউ না নিতে পারে, সেজন্য সকাল ৬টা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস এবং ভোলা- বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কঠোর নিরপাত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড যৌথ টহল দিতে দেখা গেছে। ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়ন রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, শুক্রবার সরকারি স্কুল মাঠে একটি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটির অনুমতি দেয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে কিছুটা জনশ্রুতি ও উত্তেজনা রয়েছে। যার কারণে আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহীনির পর্যাপ্ত সদস্যরাও আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ভোলার পরিস্থিতি একেবারে শান্ত রয়েছে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com