ভোলায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে কিশোরকে হয়রানির অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে আব্দুর রহিম নামে ২২ বছরের এক কিশোর ও তাঁর পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম।
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ২৫ নভেম্বর ভোলা সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম। জিডি নম্বর-১২২৫।
আর ১১ অক্টোবর এডভোকেট বিবি জোবায়েদ (পাপন) বাদী নিপা আক্তারের পক্ষ থেকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭৬/২০। আদালত মামলাটির তদন্তভার পিপিকে প্রদান করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, ১। রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামের নাসির কাজীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৬), ৩। একই গ্রামের ইলেকট্রনিক শ্রমিক আলামিন ও রহিম এর আপন ছোট ভাই কামরুল (২৪) কে।
এদিকে মামলার বাদী নিপা আক্তার রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভুয়া কাবিননামা সংশ্লিষ্ট একটি নিকাহনামায় এনে রহিমের সাথে বিবাহ হয়েছে বলে দাবি করছেন। যদিও রহিম জানিয়েছেন, নিপা আক্তারের দেয়া মামলার তদন্তভার কর্মকর্তা পিপি ঘটনা তদন্ত করে এর কোনো সত্যতা পায়নি।
নিপা আক্তারের মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ জুলাই মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রহিম নিপাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে নিপা আক্তার। এর একমাস পর ২৮শে আগষ্ট রহিম নিপার বাড়িতে এসে তাকে ঘরে একা পেয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলে ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও রহিম তার সাথে যোগাযোগ করে। তখন নিপা ঢাকার সাভারে তাঁর বোনের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে বলে মুঠোফোনে রহিমকে জানায়। এ সুযোগে রহিম ৩০ সেপ্টেম্বর নিপার দেয়া ঠিকানায় গিয়ে সাদা কাগজে কিশোরীর স্বাক্ষর নিয়ে রহিম তাকে বিবাহ করেছে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেসময়ও রহিম তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
এর কিছুদিন পর নিপা রহিমের প্রতারণা বুঝতে পেরে তার কাছ থেকে বিয়ের কাবিননামা চাইলে ছটকিয়ে পড়েন আব্দুর রহিম।
নিপা আক্তার নিজেকে ধর্ষিতা দাবি করে উক্ত মামলা দায়ের করলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়।
মামলার প্রধান আসামি রহিম মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি জানান, নিপা আক্তার তাঁর প্রতিবেশি। চলতি বছরের মার্চ মাসের কোনো একদিন নিপা তাকে (রহিমকে) রং নম্বর পরিচয় দিয়ে রহিমের সাথে কথা বলে। এভাবে প্রায় ১৫/২০ দিন রং নম্বর পরিচয় দিয়ে কথা বলে হঠাৎ একদিন নিপা রহিমের সাথে দেখা করতে চায় বলে মুঠোফোনে রহিমকে জানায় নিপা। তারপর একদিন নিপা রহিমের সাথে দেখা করে। তখন রহিম তাকে চিনতে পেরে কেনো তাঁর প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখেছে সে বিষয়টি নিপার কাছ থেকে জানতে চেয়েছে রহিম।
তখন রহিমের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চলে যায় নিপা। এর কিছুদিন পর আবারও নিপা তাকে ফোন দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এর কিছুদিন পর রহিম তাঁর ব্যক্তিগত কাজে রাজধানী ঢাকায় গেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিপা ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় রহিমের সাথে দেখা করে কয়েকজন বখাটে ছেলেদের দিয়ে তাকে হয়রানি করে।
তখন রহিম উক্ত বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয়ে যেতে চাইলে নিপা ভুয়া রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি নিকাহনামা তুলে তা নিয়ে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে-৯ এ রহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছে বলে জানায় রহিম।
এদিকে নিপা আক্তার তাঁর এলাকার অন্যান্য ছেলেদের সাথেও এমন প্রতারণা করছে এমন কিছু অডিও রেকর্ডও ও মুঠোফোনে রহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছে এমনও কিছু অডিও রেকর্ড এই প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।