খলিফা মাইনুল : ভোলায় গাছের ঢাল কাটাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বৃদ্ধ লোককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত বুধবার (২৭নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো ওই জেলার লাল মোহন থানার লেছ ছকিনা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের সিকদারের ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন সিকদার ও তার ছোট ভাইয়ের বঊ তাছলিমা বেগম । আহতদের স্বজনরা জানান, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন উদ্বোধন করে ৭ টায় ।
বিদ্যুতের তারের উপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তিন গাছের ঢাল পড়ে ছিলো । বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎ আসার সাথে সাথে আগুন ধরে যায় তা দেখে ইব্রাহীম লালমোহন বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে সেখান থেকে দুই কর্মচারী এসে ঢাল কেটে দিলে স্কুলের প্রধান শিক্ষা মোঃ ফারুক মাস্টার তাদের উপর হাত তুলেন ।এব্যাপারে আহত মতিন তাকে বিদ্যুতের অফিসের লোকদের মারতে নিষেধ করলে তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে । ওই এলাকায় হাজী বাড়ীর সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মৃত সুলতান মাতুব্বরের ছেলে এই ফারুক মাস্টার । ফারুক মাস্টারের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই কালাম, সোহেল সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছুড়ি, লাঠি দিয়ে এই হামলা চালায়।বৃদ্ধকে বাচাঁনোর জন্য তার ছোট ভাইয়ের বঊ এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত ও লাঞ্চিত করা হয়। আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । স্থানীয়রা আহতদের উদ্দার করে তাৎক্ষনিক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে ।
বর্তমানে তারা এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। আহত মতিন জানান, আমার মেয়ে ও জামাইকে সরকারি চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৪ লক্ষ টাকা নেয় এই মাস্টার কিন্তু চাকরি না দিতে পারায় কিছু দিন আগে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা না দেয়ার জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি জানান ।তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারকে এই সন্ত্রাসীরা নানান সময় হত্যাসহ লাশ গুম করারও হুমকি দেয়।এ নিয়ে আমিও আমাদের পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ ঘটনায় নিয়ে লাল মোহন থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে মতিন সিকদারের স্বজনরা আরো জানান ।