এতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো লাভ হয়না যাত্রীদের। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ঘাটগুলোতে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহল টিম থাকলেও যাত্রীসেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
তবুও শত ভোগান্তির উপেক্ষা করে পরিবারে সঙ্গে ঈদে সময় কাটাতে বাড়িতে আসতে পেরে খুশি অনেকেই।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার সঙ্গে দ্বীপজেলা ভোলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম হচ্ছেন নৌপথ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাব অনুযায়ী জেলার ১৭টি নৌপথ দিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ ঘরমুখী হয়ে থাকে। আর তাই একমাত্র নৌপথেই ভোলায় আসতে হচ্ছে তাদের।
তবে ঈদ উপলক্ষ্যে এ নৌপথে বিশেষ কোনা সার্ভিস চালু হয়নি। প্রায় ২০টি লঞ্চ দিয়েই ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে আসছেন এসব যাত্রীরা। কিন্তু নৌযান সংকটের কারণে অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের আসতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসের কর্মী জোসনা বেগম বলেন, পুরো পথেই ভোগান্তি ছিলো। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলা আসতে সি-ট্রাকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
ঢাকা থেকে ইলিশা ঘাটে আসা নাজিম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, আওলাদ হোসেনসহ একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে লঞ্চের ভাড়া ছিলো ১০০ টাকা, কিন্তু সেখানে নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। লঞ্চ ছাড়ার আগে বাড়তি ভাড়ার বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া অন্যদিকে ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চলছে। এ রুটে আরও লঞ্চ দেওয়া হলে এমন সমস্যা হতো না। তবে অনেক যাত্রী আবার শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পেরে বেশ খুশি দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, খরচ পুষিয়ে নিতে কিছু অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে স্রোতের কারণে নৌযানের ধীর