ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

মাটি ও আবহাওয়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজ আবাদে বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় হয়নি ফলনের কোনো বিপর্যয়। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভোলার উৎপাদিত তরমুজ চলে যায় বাইরের জেলায়। এ বছর ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

ভোলার কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে তরমুজের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন হয়েছে ভালো। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কেউ ক্ষেত পরিচর্যা, সার-ওষুধ প্রয়োগ, আগাছা দমন আর কেউ বা ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রোগ ও পোকার আক্রমণ না থাকায় বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার তরমুজের ফলনে কোনো বিপর্যয় হয়নি, ভালো ফলন পেয়েছেন চাষিরা। ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সন্তুষ্ট তারা।

লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ও ফরহাদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে আমরা লাভবান হতে পারব বলে মনে করছি।

আরেক কৃষক রাসেল, স্বপন ও লোকমান জানান, এবছর ফলনে কোনো বিপর্যয় নেই। তাই ফলন ভালো। বাজার দামও ভালো পাবো বলে আশা করছি।

পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টুটুল চন্দ্র সাহা বলেন, আমার এলাকার ৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। সবার ফলন অনেক ভালো। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। ফলন ভালো হওয়ায় তরমুজ আবাদে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।

 

কৃষি বিভাগ জানায়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভোলার তরমুজ চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। আর তাই দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তরমুজের আবাদ।

আগামীতে তরমুজ আবাদ আরও বাড়বে বলেও মনে করছে কৃষি বিভাগ।

এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়াসিরুল কবীর বলেন, ভোলার তরমুজের চাহিদা বেশি, তাই বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়। আগামীতে উৎপাদন আরও বাড়বে।

এ বছর জেলায় ১৮ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর যা ছিল ১২ হাজার ২৪৯ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ হওয়ায় বিগত দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।