সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও উত্থাপিত আট দফা দাবি আদায়ে শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার ভোরে। তবে সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে সরকারকে ২১ দিন সময় দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাবে সংগঠনটি। সোমবার রাতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিশ্চি করেছেন।
সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে শনিবার শ্রমিক সমাবেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
সোমবার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমরা সরকারকে জানান দিতে চাই যে, সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন না করলে আমরা গাড়ি চালাবো না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দাবি মেনে নিতে সরকারকে ২১ দিন সময় দিতে চাই। দাবি আদায়ে ১ নভেম্বর সরকারকে নোটিশ দেবে ফেডারেশন। ২১ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২১ তারিখের পর ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাবে ফেডারেশন।
তিনি বলেন, এই কর্মবিরতি আমরা বাধ্য হয়ে ঘোষণা করেছি। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হওয়ার আগে আমরা একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের দাবি-দাওয়া সরকারকে জানিয়েছি। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আমাদের দাবি দাওয়া কর্ণাপাত করেননি।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেন, কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমাদের শ্রমিক ভাইদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি। এরপরও দাবিপূরণ না হলে লাগাতার কর্মবিরতিরর কর্মসূচি দেয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যার পর সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীতে সংখ্যায় কম হলেও গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে সড়কে।