রাজধানীর উপকন্ঠ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) প্রতারক চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দলে। এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামগড়া এলাকার ভুঁইয়া ন্যাশনাল প্লাজা-৩ এর তৃতীয় তলায় এনডিবি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ভুয়া এমএলএম কোম্পানীতে অভিযোন চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- সিজারগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার সিমলা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার জামিরবারিয়া গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে রায়হান (২৫), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার দক্ষিণ মাইচপাড়া গ্রামের বিষ্ণু পদ দে’র ছেলে জিসু কান্তি দে (২০), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাড়দুল গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে আকাশ (২২),
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার জাবারীপুর গ্রামের ধীরেন রায়ের ছেলে প্রদীপ রায় (২১), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার আচুঘা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মারুফ হোসেন (২৩), একই জেলার বাগমারা থানার সাজুরিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২২),
বরগুনা জেলার আমতলী থানার বালিয়াতলি গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে সোহেল (২৫), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার ঝাওয়াইল গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আরিফুল (২২), ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার দেওগাঁ গ্রামের গপেশ সরমার ছেলে জয়ন্ত সরমা (২১),
ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার বনিকপাড়া গ্রামের শেক সাহাবুদ্দিনের ছেলে রায়হান (২০), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার বাশুদেববাড়ী গ্রামের জোয়াত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২)।
এসময় তদের হেফাজতে থাকা কর্মচারীর ১৫টি রেজিষ্টার, এনডিবি ইন্টাঃ লিঃ এর টাকা উত্তোলনের বই, এনডিবি ইন্টাঃ লিঃ মার্কেটিং প্রশিক্ষণের ৫০টি বই, এনডিবি সর্তাবলী ২টি, এনডিবি অঙ্গীকার ২টি, এনডিবি আপোষনামা ৪টি, এনডিবি গেস্ট লিস্ট ২০টি, লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিঃ জি আই প্রোডাক্ট রিসিট, লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিঃ এর মার্কেটিং বই, কম্পিউটার মনিটর সেট, এনডিবি ডিসকভার দি পাওয়ার উইথিন ইও ১৫ টি, লাইফওয়ে বাংলাদেশ (প্রা:) লিঃ এর ৩টি চেক বই, ইনকর্পোরেশন সনদ, ওয়ার্ক পারমিট, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (গ্রাহক কপি), ৫০ টাকা মূল্যের ৩টি, ১০০ টাকা মূল্যের ২টি ও ৫ টাকা মূল্যের ১টি স্ট্যাম্প ও ১২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
একই সঙ্গে উক্ত কোম্পানীর প্রতারণার শিকার ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্র আরো জানায়, এই ভবনটিতে অবৈধ একটি কোম্পানি খুলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা গ্রাম থেকে তাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেকার যুবকদের অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে চাকুরীর কথা বলে নিয়ে আসতো। তারা চাকুরী দেবার নাম করে ভুক্তভোগী তথা প্রতিটি সদস্যদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের কথা বলে ৪০-৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো।
এ বিষয়ে নবীনগর র্যাব-৪ এর মেজর শিবলী মোস্তফা বলেন, কিছু ভুক্তভোগী তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ করে। তাই তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। যার ছত্রছায়ায় প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো তাকে আটক করতে র্যাবের অভিযান চলছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন তিনি।