ভুয়া দাতা সাজিয়ে বায়না চুক্তি করে হাতেনাতে আটক ৪

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

জমির মালিকের অজান্তে ভুয়া দাতা সাজিয়ে পাওয়ার নিয়ে বায়নাচুক্তি করায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।১৫ এপ্রিল রোববার বরিশালের সদর সাব রেজিস্টারের সহায়তায় ৪ জনকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হচ্ছে জাগুয়া এলাকার এস্কেন্দার গাজী,হুমায়ুন কবির গাজী ও নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার আল আমিন মৃধা এবং জাগুয়ার মোঃ ফরিদ।সূত্র জানায়,জাগুয়া এলাকার আদম আলীর স্ত্রী মেহেরুন্নেছার নামে রেকর্ডীয় জমি রয়েছে।ওই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্নসাতের চেষ্টায় উত্তর জাগুয়া এলাকার খাদিজা বেগমের ছবি ও আইডি দিয়ে তাকে দাতা সাজিয়ে মেহেরুন্নেছা ওরফে মেহেরনেগা নাম অন্তর্ভূক্ত করে পাওয়ার নেয় এস্কেন্দার,হুমায়ুন ও আলআমিন।তারা ওই জমি বিক্রি করার জন্য ফরিদ সহ তিনজনের সাথে বায়না চুক্তি করে।এখবর জানতে পেরে মেহেরুন্নেছার ছেলে মজিবুর রহমান সাব রেজিস্ট্রি অফিসের স্মরনাপন্ন হয়।জালিয়াতি চক্রের সৃষ্ট বায়না দলিল বাতিলের জন্য তিনি সাব রেজিস্টার বরাবর আবেদন করেন।

এদিকে জালিয়াতি চক্রটি নিজেদের এড়িয়ে নিতে পাওয়ার বাতিল করতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যায়।ওই সময় সাব রেজিস্টার অফিসার শাহিন হাওলাদারের নিকট উপস্থিত হয়ে মজিবুর জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত করেন।সাব রেজিস্টার রফিকুল ইসলামের অনুমতি নিয়ে পেশকার শাহিন রেজিস্ট্রি অফিসের গেইট আটকিয়ে দেয়।তাদের দেয়া দলিল দস্তাবেজ এবং মজিবুরের দেয়া দলিল দস্তাবেজ পরখ করে।একই সাথে মজিবুরের মায়ের ছবির সাথে পাওয়ার দাতার ছবি মিলিয়ে গড়মিল দেখতে পায়।বিষয়টি সাব রেজিস্টারকে জানানো হলে তিনি তাদের তৈরিকৃত বায়না দলিল বাতিল করে পুলিশে খবর দেয়।কোতয়ালী মডেল থানার এস আই সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় এস সাইদুল ইসলাম। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সাব রেজিস্টার রফিকুল ইসলাম ও পেশকার শাহিন হাওলাদার বলেন,ভুয়া দাতা সাজিয়ে পাওয়ার নিয়ে বায়না দলিল সৃষ্টি করার অভিযোগ পেয়ে যাচাই করা হয়।অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বায়না দলিল বাতিল করে উপস্থিত ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।