শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যাওয়া হলো না শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্যের দল ‘সাস্ট অলীক’-এর। ভিসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ প্রতিযোগিতায় বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সংস্থাটির আমন্ত্রণ পেয়েছিল শাবির দলটি।
অলীকের দলনেতা আবু সাবিক মাহদি জানান, প্রতিযোগীরা নাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেতে না পারলেও সেখানে গেছেন আইসিটি ডিভিশন থেকে ৬ এবং বেসিস থেকে একজন।
জানা যায়, অলীকের সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মকর্তা, বেসিসের পাঁচজনসহ মোট ১৬ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল।
অলীক দলের সদস্যরা হলেন- শাবির জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাবিক মাহদি, কাজী মইনুল ইসলাম, সাব্বির হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এসএম রাফি আদনান এবং অলীক দলের মেন্টর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।
মাহদি জানান, এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি জানতে পারেন তারা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন। গ্লোবাল অর্গানাইজিং টিমের কমিউনিটি ম্যানেজার তাদের ই-মেইল করে অভিনন্দন জানান এবং আমন্ত্রণের বিষয়ে পরবর্তীতে যোগাযোগ করবে বলে জানান। পরে গত ২৯ মে ও ১২ জুন দুটি আলাদা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের আমন্ত্রণ জানায় নাসা এবং ২১ জুন নাসা থেকে প্রত্যেক সদস্যের নাম উল্লেখ করে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে তারা ১ জুলাই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করে। দূতাবাস ১১ জুলাই ভিসা প্রত্যাখ্যান করায় নাসার আমন্ত্রণে তারা অংশ নিতে পারেননি। ২১-২৩ জুলাই নাসায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রতিযোগীদের।
অলীকের সদস্য কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, ভিসা না পাওয়ায় নাসার আমন্ত্রণে অংশ নিতে পারলাম না। সে জন্য যোগাযোগ করলে নাসা আমাদের প্রজেক্ট বা লুনার ভিআর প্রজেক্ট নিয়ে একটা প্রেজেন্টেশনের ভিডিও তাদের পাঠাতে বলে।
নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল সাস্ট অলীক। মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির বিভিন্ন গবেষণার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ‘লুনার ভিআর’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল তারা। অ্যাপটির মাধ্যমে নাসার অ্যাপোলো-১১ অভিযান, মহাকাশ যানটির অবতরণ এলাকা, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা ও চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আবর্তন করা যায়।