ভিয়েতনাম মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচীর অংশ হিসেবে “ জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮ তম বার্ষিকী উদযাপন।

:
: ৩ years ago

সালমান রহমান,কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার প্রয়াসে বাংলাদেশ দূতাবাস , হ্যানয় , ভিয়েতনাম ২৩ মে ২০২১ ইং তারিখে যথাযােগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে ।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষের কর্মসূচী হিসেবে এ আয়ােজন ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস , হ্যানয়ের এক বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন । ভিয়েতনামে কোভিড -১৯ মহামারীর সতর্কতার জন্য এবং জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি স্বল্প সংখ্যক ভিয়েতনামী অতিথি , প্রবাসী বাংলাদেশী , দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্যাপন করা হয় । দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনা , আলােচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর উপর ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের আয়ােজন এবং ভিয়েতনামের জাতীয় শিল্পীদের সংগীত পরিবেশন করা হয় । দিবসটি স্মরণ করে আলােচনাপর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন । এই দিন নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক , গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল আদর্শকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে তুলে ধরার জন্য তিনি বলেন , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘ জুলিও কুরি ’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয় । বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যরি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন , তা চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরােধী , সাম্রাজ্যবাদবিরােধী সংগ্রামে , মানবতার কল্যাণে , শাস্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘ জুলিও কুরি ‘ শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে । বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ , বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি । এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান । এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে । মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নন – তিনি বিশ্বের নির্যাতিত , নিপীড়িত ও শােষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক । তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁর ‘ সােনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা পৌছানাে আমাদের সকলের দায়িত্ব । স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী – সমৃদ্ধ সােনার বাংলা ” -য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন । এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত – সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প -২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গত ১২ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে মাঃ ডঃ ২,০৬৪ হয়েছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় । আলােচনা পর্বের শেষে ভিয়েতনামের বিশিষ্ট জাতীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে বিশ্ব শান্তি ও বন্ধুত্বের উপর সুপারিশন করা REPUBLIC PEOPLE OF অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বাংলাদেশী রসনা স্বাদে সান্ধ্য ভােজে আপ্যায়িত করা হয় ।