ভিয়েতনাম মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ ভাষণ দিবস ২০২১ উদ্যাপন.

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সালমান রহমান, কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “ মেমােরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার ” -এর “ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ” -কে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস , হ্যানয় , ভিয়েতনাম ০৭ ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখে যথাযােগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে । জাতীয় সংগীত সহকারে এ উপলক্ষ্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন , মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ , দোয়া ও মােনাজাত , আলােচনা এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শনীর আয়ােজন করা হয় । ভিয়েতনামে কোভিড -১৯ মহামারীর সতর্কতার জন্য এবং জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি স্বল্প সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী , দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্যাপন করা হয় । ঐতিহাসিক ০৭ ই মার্চ – কে স্মরণ করে আলােচনাপর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপৰ্য্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন । মান্যবর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে , ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তঙ্কালীন পাকিস্তানী শাষক গােষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখাে জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ – স্বাধীনতার উদাত্ত আহবান । মহা – সংগ্রামী এ নেতার নেতৃত্বে আপামর জনতা সে সময় মুক্তি সংগ্রামে সংঘবদ্ধ হয়েছিল ।

তাই ০৭ ই মার্চ ১৯৭১ ইং এর ভাষণ পুরাে বাঙ্গালী জাতি – কে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহবান জানিয়েছিলাে – তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু এবং সে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ । মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন , বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি বরং বাংলাদেশ – কে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে । তিনি আশা প্রকাশ করেন যে , বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণা প্রদানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান থাকবে । আজ সারা পৃথিবীতে এ অবিস্মরণীয় ভাষণের মর্মবাণী বিভিন্ন জাতির জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি এবং গবেষণার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়েছে । স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী – সমৃদ্ধ সােনার বাংলা ” -য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন । এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত – সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প -২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গত ১২ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন । Wall Street Journal বাংলাদেশকে অতি সম্প্রতি ঘােষণা করেছে – Bangladesh , the South Asia’s ‘ Economic Bull’- যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের । বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে জাতির পিতার ‘ সােনার বাংলা পড়ার লক্ষ্যে সকল বাংলাদেশীরা একযােগে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন । পরিশেষে ৭ ই মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী , মহান এ ভাষণের কপি আগত অতিথীদের মধ্যে বিতরণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় । উল্লেখ্য যে , বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চ ভাষণের ভিয়েতনামী অনুবাদের কাজে