ভিপি সম্পত্তি মালিকানায় রূপান্তর চেষ্টায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীতে ভিপি সম্পত্তি নিয়ে আদালতে পৃথক চারটি মামলা চলমান থাকলেও বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কয়েক কর্মচারী জালিয়াতি পূর্বক মালিকানা জমির কাগজপত্র তৈরি করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন অভিযোগ এনে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেন ফজিলাতুন নেছা। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ডাক যোগে বরিশাল প্রধান ডাকঘর অফিস থেকে রেজিস্ট্রি পূর্বক এ আবেদন প্রেরণ করেছেন।

লিখিত আবেদনের বিষয় হল- ৩/৬৬-৬৭ নং ভিপি কেসের বায়না রেজিস্ট্রার বা দলিল না করার জন্য আবেদন। কারণ হিসেবে আবেদনে উল্লেখ রয়েছে- বগুড়া আলেকান্দা মৌজার জে এল নং-৫০, এসএ খতিয়ানের (নং-১৬৮৯) সাতটি দাগে (নং- ৪৪৪১, ৪৪৪২, ৪৪৪৩, ৪৪৪৫, ৪৪৪৭, ৪৪৪৮,৪৪৫২) মোট ৪২ শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমি লিজ নিয়ে বসবাস করছেন একাধিক মানুষ। এই ভিপি সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে একটি চলমান মামলার পাশাপাশি বর্তমানে বরিশাল আদালতে পৃথক চারটি মামলা চলমান রয়েছে।

এমন অবস্থার মধ্যে জাল জালিয়াতি পূর্বক ভিপি সম্পত্তি বায়না রেজিস্ট্রি বা দলিল করার জন্য পাঁয়তারা চলিতেছে। যার সাথে জড়িত রয়েছেন- বরিশাল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

তারা হলেন- সদর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মো. হাকিম। গত ১৮/২০ বছর একই স্থানে চাকুরি করার সুবাদে বিভিন্ন অপকর্মের জড়িয়েছেন। একইভাবে বিএম ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকতা তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় বিভিন্ন জায়গার ভিপি সম্পত্তি নামজারি ও খাজনার দাখিল প্রদান করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় জাল জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি পূর্বক বাংলাদেশ সরকারের “ক” তালিকাভুক্ত সম্পত্তি রেকর্ড সংশোধন করত ও খাজনা দাখিলা দিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতি করে নামে বেনামে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন।

জোনাল সেটেলমেন্টের চেইন ম্যান পদে মো. মনির চাকুরি নিয়োগ প্রাপ্ত। কিন্তু মনির পদমর্যাদার অনুকূলে সেই কাজ না করে ১৫/১৬ বছর ধরে অফিস সহকারী হিসেবে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের নামীয় সম্পত্তি কর্তন করে বিভিন্ন মানুষের নামে মোটা অঙ্কের বিনিময় জরিপের কার্যক্রম করে এবং জালজালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে  নিজে ও নামে বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

আবেদনকারী লিখিত আবেদনে অভিযুক্তদের সম্পত্তির আংশিক বর্ণনা তুলে ধরেন।