লামা উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা গ্রহণ করায় ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলাম ফরিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে বাংলা-১ম পত্রের পরীক্ষায় ৫০ জন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস অনুযায়ী করা প্রশ্নপত্র দিয়ে গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা গ্রহণের পর কেন্দ্রের বাহিরে কৌতুলবশত লামা থানার ডিএসবি’র প্রতিনিধি এএসআই মো. আলমগীর কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন যাচাইকালে ভুলটি ধরা পড়ে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, লামা-১ কেন্দ্রে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪১ জন নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে নিয়মিত ১৮২ জন।
লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এম ইমতিয়াজ জানান, তার বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছে। পরীক্ষাগ্রহণ শেষে তিনি জানতে পারেন অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের অবজেকটিভ প্রশ্ন দিয়ে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের থেকে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিশেষ পদক্ষেপ ছাড়া বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হবে না। কেন্দ্রের ৫টি হলের মধ্যে নিয়ম ভঙ্গ করে ১, ২ ও ৩নং হলে শুধুমাত্র ‘গ’ সেটের এবং ৪ ও ৫নং হলে ‘গ’ ও ‘ঘ’ সেটের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পরীক্ষার্থী এবং কক্ষ পরিদর্শকরা জানান।
কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় প্রশ্নপত্র বিতরণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, পরীক্ষা গ্রহণের এই সমস্যাটি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত করেছে। পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে করে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।