ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পায়নি ভোলার দুই হাজার শিশু

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ভোলায় প্রায় দুই হাজার শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পায়নি। শিশুরা দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মাঝের চরের বাসিন্দা। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু বলেন, তার এলাকার প্রায় ২ হাজার শিশুর কাউকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়নি।

তবে দৌলতখান উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব শিশু কেন্দ্রে যায়নি কিংবা বাদ পড়েছে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে খুঁজে বের করে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।

ভোলা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা যায়, আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের মতো ভোলায়ও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ৩১১টি শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৫০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষে কাজ করে সংশ্লিষ্টরা।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১ নম্বর মদনপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম চরটবগী। দৌলতখান উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব ১০-১২ কিলোমিটার।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কথা হয় ওই গ্রামের মাঝের চর এলাকার বিবি রোকেয়ার সঙ্গে। সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তান আহাদকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারে নি। রোকেয়া বলেন, এখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ আসে নাই। আমরা খবর পাইনি। তাই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারিনি। এদিকে কোনো মাইকিংও হয়নি। আশপাশের কেউ জানতেন না। ফলে কেউ খাওয়াতে পারেননি।

ওই ইউনিয়নের চর পদ্মা গ্রামের মাঝের চর এলাকার গৃহিণী লাভলী বেগমের দুই বছর ৭ মাস বয়সী ছেলে মাহিকেও খাওয়াতে পারেননি ভিটামিন এ ক্যাপসুল। তবে, ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়টি আগে থেকে জানতে পারলে তিনি অবশ্যই তাঁর শিশু সন্তানটিকে ক্যাম্পে নিয়ে যেতেন।

চরটবগী গ্রামের মাঝের চর এলাকার শফিক সিকদার বলেন, আমার বাড়িতে গত ১৫ বছর ধরে স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্যাম্প করে কার্যক্রম চালালেও রোববার কেউ এই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা বলেনি। করেনি মাইকিং। চালানো হয়নি প্রচার। তিনি এখানে একটি ক্যাম্প করারও দাবি জানান।

উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু বলেন, তার এলাকার ২ হাজার শিশুর কাউকে আজ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়নি। আজ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো বিষয়টি তিনি জানেন না বা কেউ তাকে জানায়নি।

দৌলতখান উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, শফিউদ্দিন সিকদার বাড়ির ওই কেন্দ্রে পোলিও টিকা খাওয়ানো হলেও সেই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়নি। রোববার তাঁরা সার্বিকভাবে শতকরা প্রায় ৯৯ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাইয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যেসব শিশু সিসি কেন্দ্রে যায়নি কিংবা বাদ পড়েছে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে খুঁজে বের করে খাওয়ানো হবে।