১০-১৫ হাজার রোজগার করতে দিনভর খাটতে হয়। কয়েক বছর পরিশ্রম করার পর বেতন হয়তো বা ২০ হাজারের ঘরে পৌঁছায়। কিন্তু ইনি শুধুমাত্র ভিক্ষা করেই মাসে অন্তত ৩০ হাজার রুপী রোজগার করেন। বছরে বাংলাদেশি টাকায় রোজগার করেন প্রায় ৫ লাখ ২৪ হাজার।
তিনি ঝাড়খণ্ডের ছোটু বারাইক। ভারতের চক্রধরপুর রেলওয়ে স্টেশনে বারাইক নিয়মিত বসেন।
শুধু ভিক্ষা নয়, তার সাথে আরও নানা ব্যবসা রয়েছে ছোটু’র। একটি সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটার। রেলের যাত্রীদের অনেক সময় তার মেম্বারশিপও করান। কখনও জিনিসপত্রও বেচেন। এছাড়াও সিমডেগা জেলার বান্দি গ্রামে তার একটি বাসপত্রের দোকান রয়েছে। যা চালান তার এক স্ত্রী। তিনটি বিয়ে করেছেন। সন্তান-সন্ততি নিয়ে ভরা সংসার ছোটুর। মাসে যা রোজগার করেন তার একটা বড় অংশ সমান ভাগ করে স্ত্রীদের কাছে পাঠান। পালা করে তাদের কাছে গিয়ে থাকেন। সংসারের তদারকিও করেন।
ভারতীয় সিনেমায় ভিক্ষারিদের নিয়ে তৈরি নানা চরিত্র বেশ হিট। খবরা খবর রাখার সাথে সাথে এটা যে একটা বড় ব্যবসা তা বহু সিনেমাতে এর আগেও দেখানো হয়েছে। ঘটনা যে সত্যি তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ছোটু।
এর আগেও খবরে প্রকাশ পেয়েছিল মুম্বাইয়ে এক ভিক্ষারী থাকেন কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাটে। আর একজন তো গাড়িতে চড়ে ভিক্ষা করতে আসেন।