বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন এবং এর বিরোধিতার বিষয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই হ্যান্ডেল (তদারকি) করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়েল চত্বরে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। সব ব্যাপারে মাথা গরম করলে চলবে না। বিষয়টি হ্যান্ডেল করছেন প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে তিনি করোনা মোকাবিলা করছেন, সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তিনি এখানে এসেছেন। কাজেই তিনি জানেন কোন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো সংঘাতে যাব না। আমরা যুক্তি-তর্ক দিয়ে বলব মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। আজকে যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কি জানে না সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোতে ভাস্কর্য আছে? সেখানে ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী নয়, বাংলাদেশে কেন এটা অযৌক্তিক?
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আমাদের জাতীয় নেতা, গণতন্ত্রের মানসপুত্র, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আমলে গণতন্ত্রের জন্য তিনি বারবার লড়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, দেশ ত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। তিনি বারবার বলতেন, গণতন্ত্রই আমার জীবনের মূলমন্ত্র। শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা, তিনি সেটা বলতেন।’
দেশে একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আচরণে, কর্মকাণ্ডে কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা গণতন্ত্রের শত্রু। এরা গণতন্ত্রের বিকাশ চায় না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউই গণতন্ত্রের চর্চা করেনি। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এটা আশা করা যায় না।’