বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা ভাসানচরের অদূরে গম ও ভুট্টাবাহী দুটি লাইটার জাহাজ ডুবেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে পৃথক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিকেল পর্যন্ত একজন নাবিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ দুটির নাম খাজা বাবা ফরিদপুরী ও এন ইসলাম। প্রথম জাহাজটিতে গম এবং দ্বিতীয় জাহাজটিতে ভুট্টা ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী দিয়ে গম নিয়ে খাজা বাবা ফরিদপুরী নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রওনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাসানচর অতিক্রম করার সময় জাহাজটির তলা মাটিতে আটকে যায়। এতে তলা ফেটে জাহাজটি কাত হয়ে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজটির ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জন নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও আশপাশের জাহাজে ওঠে রক্ষা পান। তবে নিখোঁজ নাবিকের নাম জানা যায়নি।
লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তারা জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে এক হাজার ৭০০ টন গম ছিল। এসব গম বসুন্ধরা গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বড় জাহাজে আমদানি করে। সাগরে বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে স্থানান্তর করে তা নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছিল।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটে বেলা দেড়টায়। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আরেকটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘এন ইসলাম’নামের জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এ সময় জাহাজটি ভাসানচরের দিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে যান জাহাজের চালক। এই জাহাজটির ১৩ জন নাবিক নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজে ওঠে রক্ষা পান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ভাসানচরের পাশে এক নম্বর বয়া থেকে এক নটিক্যাল পূর্বে খাজা বাবা ফরিদপুরী জাহাজটি ডুবে। অপর জাহাজটি চরের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। জাহাজ দুটি উদ্ধারে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে মালিকপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।