খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশি ভালো নয় তবে তার মনোবল শক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার ব্যক্তিগত চিকিৎককে দিয়ে করানোর দাবি জানান ফখরুল। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মির্জা ফখরুল একাই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন।
এর আগে গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে রওনা হয়েও পরে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে সাক্ষাৎ স্থগিত করেন তিনি। গত ৭ মার্চ মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাত নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
ওইদিন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুলমঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এম বি এম আবদুস সাত্তারও ছিলেন ফখরুলের সঙ্গে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দর, স্ত্রী কানিজ ফাতিমাসহ পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার কারাগারে গিয়ে দেখা করে এসেছেন।
এর বাইরে আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী কারাগারে খালেদার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ খালেদা জিয়ার ছয় আইনজীবী সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ কারাগারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরে সাজায় রায়ের পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ওই কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনিই এখন একমাত্র বন্দী।