ভালুকা শিল্প এলাকায় দুই একর জমির মালিক ত্রিশালের ব্যাংক কর্মকর্তা

:
: ৪ years ago

কামাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি : সোনালী ব্যাকের ময়মনসিংহের ত্রিশাল শাখার সিনিয়র অফিসার শেখ মোহাম্মদ শামসুজ্জামানকে অধিকাংশ মানুষই কোটিপতি হিসাবেই চিনেন জানেন । ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় যে কেউ জমি বিক্রি করতে চাইলেই এই কর্মকর্তা তার শ্মরনাপন্ন হন। জানা যায়, এই কর্মকর্তার কোটিপতি হওয়া এবং অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)বরাবর ইতিমধ্যে ভালুকার এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে উৎকোচ দিয়ে পছন্দের পোষ্টিং, একই জেলায় অর্থাৎ ময়মনসিংহে বছরের পর বছর কর্মরত থাকা, কোটিপতি হওয়া, সরকারি নিয়ম-নীতি অমান্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ মিলবে দুদকের অনুসন্ধানে এমনটাই দাবি করেছেন অভিযোগকারীর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে সোনালী ব্যাংকে চাকুরিতে যোগদান করেন শেখ মোহাম্মদ শামছুজ্জামান ।

২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র অফিসার হিসাবে ত্রিশালে যোগদান করেন । এরআগে একই জেলা অর্থাৎ ময়মনসিংহের ভালুকা , ঈশ্বরগঞ্জে চাকুরি করেন । ঘুরে ফিরে ময়মনসিংহ জেলাতেই । এই কর্মকর্তা নিজ বাড়ি ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা নতুন বাসস্ট্যান্ড শিল্প এলাকায় হাইওয়ে রোড সংলগ্ন ৬ শতাংশ জমি কিনে তন্মধ্যে ৩শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন আধুনিক মডেলের বাড়ি । এই বাড়ি নির্মাণে ব্যায় করেছেন কমপক্ষে ১ কোটি লাখ টাকা । তার স্ত্রী ত্রিশালের দরিয়ার চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাদেকা শিরিনের নামে একই এলাকায় রাস্তার দক্ষিণ পাশে ১২ শতাংশ জমি এবং নিজের নামে আরো ২৯ শতাংশ জমি কিনেছেন । নামে বেনামে তাদের রয়েছে আরো কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার জমি । শেখ মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগ রয়েছে । অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহের একজন এজিএম পদমর্যাদার অফিসার বিষয়টির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন । কিন্তু এ অভিযোগের ফাইল গায়েব হওয়ায় তদন্ত আটকে গেছে । ভালুকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তাকে আমরা কোটিপতি শামছুজ্জামান হিসাবেই চিনি জানি । জমি পেলেই তিনি কিনতে চান । ঐব্যক্তি জানান, তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে । অভিযোগ রয়েছে, শামছুজ্জামান তার বিষয়ে পত্র পত্রিকার কোন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন । এব্যাপারে শামছুজ্জামান জানান, বেনামে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে । স্যার এগুলোর রিপোর্ট দিবেন । নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন কিনা প্রশ্নের জবাবে বলেন , না । অভিযোগ তদন্তাধীন আছে । কোটি টাকার জমি বিষয়ে বলেন, কমদামে কিনেছি । এখন মূল্য বেড়েছে ।