ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগ দুই বাংলাদেশি নারীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির মহারাষ্ট্রের থানে’র জেলা আদালত। পাশাপাশি ওই দুই নারীর প্রত্যেককে ৫ হাজার রুপি করে আর্থিক জরিমানাও করেছেন আদালতের সহকারী দায়রা বিচারক এইচ.বি.সেলক।
বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা ওই দুই নারী হলেন মুমতাজ রাসুল শেখ (৪৫) এবং মুনিরা আখতার হুসেন (৩০)। গত ২৯ মার্চ ওই দুইজনকে ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটার উজ্জ্বলা মোহলকর আদালতকে জানায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সঞ্জয় বাঙ্গারের নেতৃত্বে থানে জেলার গ্রামীণ পুলিশের মানব পাচার বিরোধী সেল’এর সদস্যরা মীরা রোড নামক একটি জায়গায় গত বছরের ১৫ জুলাই অভিযানে চালায় এবং একটি ব্যাঙ্কের সামনে কয়েকজন নারীকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। এরপরই পুলিশের একটি দল তাদের সাথে আলাপচারিতা শুরু করে একসময় তাদের জেরা শুরু করলে বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুই বাংলাদেশি নারীকে ধরা পড়ে যায়।
পুলিশ জানতে পারে যে তারা পাশ্ববর্তী একটি বস্তি এলাকায় থাকতো এবং দৈনিকে শ্রমিকের কাজ করতো। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এও জানা যায় যে ভারতে বসবাসের কোন বৈধ নথি তাদের কাছে নেই। এরপরই ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতকে জানান তাদের মক্কেলরা ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছে। তাই রায় দেওয়ার সময় আদালত যেন একটু সহানুভুতিশীল হয়।
এরপর দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই দুই বাংলাদেশি নারীর প্রত্যেককে এক বছরের কারাদন্ড দেয় আদালত। এদিন সাজা শোনানোর সময় আদালতের সহকারী বিচারক একটি বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করেন, তা হল অভিযুক্ত ওই দুই নারী খুবই গরিব ছিলেন এবং কাজের খোঁজেই তারা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
বিচারক এও জানায় যে আদালতের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকার যেন উদ্যোগী ভূমিকা নেয়।