পশ্চিমবঙ্গের মন্তেশ্বরে এক রাতে পরপর পাঁচটি মন্দিরে চুরি হয়েছে। গত রোববার রাতে মন্দিরের তালা ভেঙে বিগ্রহের গয়না, প্রণামী বাক্সের অর্থ, থালা-বাসনসহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে চোর।
এভাবে এক রাতে পাঁচটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেই সেখানে বেশ কয়েকটি মন্দিরে চুরি হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ঘটল একই ঘটনা।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরে চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া, চুরি ঠেকাতে রাতে গ্রামীণ এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের গলাতুন অঞ্চলে এসব চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার দুর্গা মন্দির ও সংলগ্ন রঘুনাথ মন্দির, মঙ্গলচণ্ডী মন্দির, মদনগোপাল মন্দির ও শিব মন্দিরে রোববার রাতে চুরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা দেখে প্রথমে চুরির বিষয়টি নজরে আসে। এরপর একের পর এক মন্দির থেকে মালামাল খোয়া যাওয়ার খবর আসতে থাকে।
গোপাল মন্দির থেকে বিগ্রহের বাঁশি, সোনার বালা,নুপুরসহ প্রায় আড়াই লাখ রুপির গহনা চুরি হয়েছে। ওই মন্দিরে ৩০০ বছর পুরনো একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি ছিল। চোর সেটিও নিয়ে গেছে।
দুর্গা মন্দিরের প্রণামী বাক্সে প্রায় আট হাজার রুপি, রঘুনাথ মন্দিরের সিংহাসনের রূপার ছাতা, সোনার বেলপাতা, তুলসি পাতা, ও রূপার পৈতে খোয়া গেছে। শিব মন্দিরের সোনার বেলপাতা ও রূপার সাপ চুরি হয়েছে।
মঙ্গলচণ্ডী মন্দির থেকে দেবীর প্রায় ৫০০ গ্রাম ওজনের রূপার সিংহাসন, সোনার পৈতে, সোনার চোখ ও পিতল-কাঁসার বাসনপত্র চুরি গেছে।
গোস্বামীপাড়ার মদনগোপাল মন্দির থেকে বিগ্রহের মুকুট, টিকলি, চামর, গয়না চুরি গেছে বলে জানা গেছে। মন্দির থেকে সূর্যদেবের স্ফটিকের বিগ্রহ চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী বলছে, রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে গত রোববার রাতে মন্দিরে বিশেষ পূজা হয়েছিল। পূজা শেষে মন্দিরে তালা লাগিয়ে বাড়ি যান পুরোহিত। এরপরই সেখানে চোর হানা দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, নিউজ১৮