ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ ছাড়িয়েছিল গত শনিবার। রোববার এবং সোমবার তা কিছুটা কমেছে। অবশ্য শনিবারের তুলনায় গত দু’দিন করোনা পরীক্ষাও হয়েছে কম। সোমবার (৩ মে) দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জন।
সংক্রমণের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যুও কিছুটা কমেছে। যদিও তা সাড়ে ৩ হাজারের কাছেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের। এ নিয়ে ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জনে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৭০০-র নিচে নেমেছে। যদিও দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা পর পর দু’দিন ৪০০ ছাড়িয়েছে। কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, তামিলনাড়ু, গুজরাট এবং রাজস্থানেও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডেও প্রতিদিন ১০০-র বেশি মানুষের করোনায় মৃত্যু হচ্ছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৪২ জন। এত সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো। এই পরিস্থিতির জেরে দেশে অক্সিজেনের চাহিদাও আকাশ ছুঁয়েছে।
এদিকে শনিবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। এই দফায় ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকলেই টিকা পাচ্ছেন। এমনিতেই রোববার সপ্তাহের অন্যদিনের তুলনায় টিকা দেয়া হয় অনেক কম। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে টিকা পেয়েছেন মাত্র ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৭৬ জন। যা অন্যান্য রোববারগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। ভারতে এ পর্যন্ত টিকার মোট ডোজ দেয়া হয়েছে ১৫ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি।