ভারতের কথায় আইসিসি চলে!

:
: ৬ years ago

প্রায় ১০ বছর ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় পূর্ণ সিরিজ হয় না। দুই দল শুধু খেলে আইসিসি বা এসিসির কোনো প্রতিযোগিতায়। এক সমঝোতা চুক্তিতে ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে একাধিক সিরিজ খেলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বিসিসিআই তা পূরণ না করায় ৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চায় পিসিবি

এখন আর তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে নেই। ইমরান খানের তীব্র সমালোচক ছিলেন বলে সাবেক ওই অধিনায়ক দেশের প্রধান হওয়ার পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দেন নজম শেঠি। তবে সাবেক এই প্রধানের সময়ই পিসিবি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের ব্যাপারে রায় দিয়েছে আইসিসি। আর সেটা গেছে বিসিসিআইয়ের পক্ষেই। এতেই খেপেছেন পিসিবির সাবেক সভাপতি নজম।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের একাধিক দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার কথা ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও এর সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্রের অভিযোগ তুলে ভারত প্রায় সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দেশটির সঙ্গে। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কে। আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দল আর মুখোমুখি হয় না। ১০ বছর ধরে টেস্টে এই দুই দলের যেমন দেখাই হয়নি।

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেট সিরিজ হলে পিসিবি বিশাল অঙ্কের আর্থিক লাভের মুখ দেখত। এই সিরিজকে পাখির চোখ করে পিসিবির সঙ্গে লোভনীয় চুক্তি করেছিল সম্প্রচারকেরাও। কিছুই হলো না শেষ পর্যন্ত। পিসিবি তাই বিসিসিআইয়ের কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল। অঙ্কটাও ছিল ৭ কোটি ডলারের। কিন্তু সমঝোতা চুক্তি করা মানেই চুক্তি পালনের বাধ্যবাধকতা নয়, শর্তের এই ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় বিসিসিআই। আইসিসিও পিসিবির ক্ষতিপূরণের দাবি নাকচ করে দেয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় নজম বলেছেন, ‘আমরা এই আরজিটা সম্ভাব্য সেরা উপায়েই দাখিল করেছিলাম। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, আইসিসিতে ভারতের প্রভাব খুবই শক্তিশালী। তবু বলব, যে রায় দেওয়া হলো তা একেবারেই ভুল ও হাস্যকর সিদ্ধান্ত। আমি সত্যিই মনে করি এই রায় রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট। কখনো কখনো আইসিসিতে ভারতের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত।’

রায় উদ্দেশ্যমূলক কেন মনে করছেন, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন নজম, ‘এই রায়ের মধ্যেই অনেক স্ববিরোধিতা আছে। এর আগে ওরাই তো বলেছিল পিসিবির দাবির মধ্যে যুক্তি আছে। আর ওরা যদি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পুরো চুক্তিপত্রটি দেখে, তাহলেই বুঝতে পারবে শর্ত পালনে বিসিসিআই ছিল পুরোপুরি দায়বদ্ধ। বলতেই হবে, এই রায় অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা জানতাম ভারত আইসিসির ওপর চাপ দিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাবে, কিন্তু আমরা তবু এমন একটা রায় প্রত্যাশা করেছিলাম যেখান থেকে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারব। কিন্তু যে রায় দেওয়া হলো, তা অবশ্যই বাজে অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল। সব দেখে মনে হচ্ছে, তখনই এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা শুরু হবে, যখন ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চাইবে।’