জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৭৫ রান। জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত। তবে ভারতের বিপক্ষে এই রান তাড়া করা শ্রীলঙ্কার জন্য বর্তমান সময়ে অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হওয়ার কথা; কিন্তু চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে যে দলটা বদলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। সুতরাং, লড়াই হলো এবং সেই লড়াইয়ে জিতলো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাই। জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিল লঙ্কানরা।
৭০তম জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করেছে এই নিদাহাস ট্রফি। যেখানে স্পষ্ট ফেভারিট ভারত। বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ছাড়াও রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটি সত্যিই অনেক শক্তিশালী।
কিন্তু শ্রীলঙ্কাও যে কম যায় না সেটা দেখিয়ে দিল তারা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ভারত। ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।
এছাড়া মানিস পান্ডে করেন ৩৫ বলে ৩৭ রান। ঋষাভ পান্ত করেন ২৩ বলে ২৩ রান। দিনেশ কার্তিক ৬ বলে করেন ১৩ রান। লঙ্কানদের মধ্যে দুষ্মন্তে চামিরা নেন ৩৩ রান ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ, জীবন মেন্ডিস এবং গুনাথিলাকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিস শুরুতেই আউট হয়ে যান। দানুসকা গুনাথিলাকা এবং কুশল পেরেরা ভালো জুটি গড়েন। যদিও ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হন গুনাথিলাকা। ৩৭ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন পেরেরা। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।
এছাড়া চান্ডিমাল ১৪, থারাঙ্গা ১৭ রান করে আউট হন। দাসুন সানাকা ১৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন থিসারা পেরেরা। ১০ বলে তিনি করেন ২২ রান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কাও মারেন তিনি। মূলত তার এই ছোট্ট ঝড়ই শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেয়। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ইউযবেন্দ্র চাহাল নেন ২টি করে উইকেট।