ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে রগ কর্তন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমি বিরোধের জের ধরে আলীগ নেতাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে কুপিয়ে রগ কর্তন করেছে নাসির বাহিনী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা।

আজ ১০ জুন বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলার দক্ষিণ ভান্ডারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলোভান্ডারিয়া পৌরসভা সাত নং ওয়ার্ডের আ’লীগের সিনিয়র সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল তার ছেলে সবুজ, মেয়ে সোমা, ছেলে, মেহেদী, মেয়ে জামাই মামুন, খাদিজা এবং তুষার।

এদের মধ্যে আ’লীগ নেতা বাবুল, সবুজ, সোমা এবং খাদিজাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া হয়।

আহত মেহেদী জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহিদুল ইসলাম বাবুলের জমি নিয়ে প্রতিবেশী হোসেন বেপারীর ছেলে বাবুলের বিরোধ চলে আসছে।

ওই জমি নিয়ে আদালতে বন্টন মামলা চলমান রয়েছে।

বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ নাসির উদ্দিন ও তার পরিবারের সহযোগীরা শহিদুল ইসলাম বাবুলের জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

প্রায় সময় নাসিরুদ্দিন ও তাদের সহযোগীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাবুল ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভবিষ্যৎ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে বাবুল ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা শক্তির দাপটে জমির সঠিক ম্যাপ ব্যবহার না করে ভুয়া জমির ম্যাপ দিয়ে জমি জবর দখল করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে নাসির বাহিনী।

বৃহস্পতিবার ১০ জুন জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সালিশ মিমাংসার কথা ছিল।

ও দিন ই দুপুরে জমিজমা নিয়ে বাবুলের সাথে নাসিরের দন্ধ হয়।

এরই জের ধরে একপর্যায়ে নাসিরুদ্দিন, নীরু বেপারী, ফিরু বেপারী, সাইদুর, বাদশা, জোসনা, নিপা সহ তাদের ২০/২৫ জন সহযোগী সন্ত্রাসীরা হত্যার চেষ্টায় বাবুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন।

তাকে বাঁচাতে ছেলে সবুজ, মেহেদী, মেয়ে সোমা মেয়ে জামাই মামুন, এবং তুষার খাদিজা আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন নাসির উদ্দিন সহ অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সেখানে আহতদের মধ্যে বাবুল, সবুজ, সোমা, খাদিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদের মধ্যে বাবুল এবং সবুজের অবস্থা খুবই গুরুতর।

আহত বাবুলের হাতের তালুর ওপর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রগ কর্তন হয় এবং সবুজের মাথায় ধারালো আঘাতে মারাত্মক জখম রয়েছে।

অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।