৭১জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ।
সোমবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সময় বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের কতজন আরোহী মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের একজন হলেন একটি আন্তর্জাতিক ট্রাভেলিং এজেন্সির কর্মী বসন্ত বহোরা। সংবাদ মাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে তিনি জানিয়েছেন তার সে অভিজ্ঞতার কথা। স্থানীয় নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
বসন্ত বলেন, উড়োজাহাজটিতে নেপালের বিভিন্ন ট্রাভেলিং এজেন্সির ১৬জন ছিলেন। আমরা সবাই বাংলাদেশে গিয়েছিলাম প্রশিক্ষণের জন্য।
ভয়াবহ মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যখন ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করি তখন উড়োজাহাজটি স্বাভাবিক ছিল। তবে কাঠামান্ডুতে বন্দরে নামার আগ মুহূর্তে এটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে।
বসন্ত বলেন, হঠাৎ করে প্রচণ্ড শব্দ হলো। আমার সিটটি জানালার পাশে ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথেই আমি জানালা ভেঙে আসতে সক্ষম হই।
এই বিমান আরোহী জানান, আহত হওয়ার পর স্থানীয়রা আমাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর আমার বন্ধুরা আমাকে নরভিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, আমি মাথা ও পায়ে আঘাত পেয়েছি; কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছি।