বড়দিনের পরপরই বিধিনিষেধ ফিরছে ইউরোপে

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ইউরোপে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ‘উদ্বেগজনক’ ধরন ওমিক্রন। এর মধ্যেই চলে এসেছে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। তারপর ইংরেজি নতুন বর্ষ। এসব উৎসবকে কেন্দ্র করে ওমিক্রন সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় বড়দিনের পরপরই নতুন করে সামাজিক বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা করছে ইউরোপ। অবশ্য কিছু দেশে এরই মধ্যে ছোটখাটো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

বক্সিং ডে, অর্থাৎ বড়দিনের পরের দিন থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে ওয়েলসে। ওইদিন থেকে দেশটিতে কর্মস্থলসহ সব উন্মুক্ত জায়গায় ন্যূনতম দুই মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বার, সিনেমা হল, থিয়েটারের মতো জায়গাগুলোতে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ছয়জন সমবেত হতে পারবেন। ক্রেতা ও কর্মীদের সুরক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি স্বাস্থ্য সতকর্তা অনুসরণ করতে হবে। কোথাও বড় অনুষ্ঠান করা যাবে না। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩০ এবং বাইরের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জন জড়ো হতে পারবেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি জানিয়েছেন, তার সরকার নতুন করোনাবিধির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিধি চালু হলে আবারও বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হতে পারে। এছাড়া, বেশ কিছু খাতের কর্মীদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনায় বসবেন ইতালীয় সরকারের কর্মকর্তারা।

 

জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে আবারও কিছু বিধিনিষেধে ফিরছে তারা। তখন ১০ জনের বেশি মানুষ একত্রে সমবেত হতে পারবেন না। নাইটক্লাবগুলো বন্ধ থাকবে। ফুটবল ম্যাচও আবদ্ধস্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

বড়দিন সামনে রেখে অবশ্য কড়াকড়ি কিছুটা কমিয়ে আনার চিন্তা করছে স্কটল্যান্ড। আইসোলেশনের সময়সীমা কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির উপ-প্রথম মন্ত্রী জন সুইনি। স্কটল্যান্ডে বর্তমানে পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরও বাড়িতে থাকা সবাইকে নিয়ে ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হয়। কিছুদিন আগে আইসোলেশনের সময় সাতদিনে নামিয়ে এনেছে ইংল্যান্ড। এবার স্কটল্যান্ডও সেই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি