পর্নহাবসহ ১৯০টি পর্ন ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করেছে থাইল্যান্ড সরকার। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে দেশটির মানুষ। খবর সিএনএন।
দেশটির ডিজিটাল মিনিস্টার পুট্টিপোঙ্গ পুন্নাকান্টা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা পর্ন ও জুয়ার ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশে বাধাদানের একটি প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, দেশটির সাইবার অপরাধ আইন অনুযায়ী পর্ন ও অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বহু থাই নাগরিক। উল্লেখ্য, ভিজিটর বিবেচনায় থাইল্যান্ডে পর্নহাবের অবস্থান প্রথম ২০টি ওয়েবসাইটের মধ্যে এবং দেশটিতে রয়েছে ‘প্রসিদ্ধ’ যৌনপল্লীর ব্যবসা।
পর্নহাবের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থাই ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে গড়ে ব্যয় করেছেন ১১ মিনিট ২১ সেকেন্ড। যা বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। ‘অ্যানোনিমাস পার্টি’ নামে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ বলছে, ‘আমরা পর্নহাবে ঢোকার সুযোগ ফিরে পেতে চাই। মানুষের নিজের পছন্দ বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’
সরকারের সিদ্ধান্তের পরপরই ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের বাইরে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বেশ কিছু মানুষ। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পর্নহাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ইন্টারনেট গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘টপটেনভিপিএন’ জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে পর্নহাব বন্ধের পর থেকে থাইল্যান্ডে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) সফটওয়্যার সার্চ করার পরিমাণ বেড়ে গেছে। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের তুলনায় ৬৪০ শতাংশ বেশি মানুষ ভিপিএন ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছেন।