সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ক্যাম্পাসের ভেতরেও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোন অ্যাম্বুলেন্স ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টার দিক থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশজুড়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে মেরুল বাড্ডা সড়কে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে সেখানে অতর্কিত পুলিশ হামলা চালায়।
সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে একের পর এক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে যাওয়ার পর গেটের ফাঁক দিয়েও তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সামিহা বলেন, এতো কাছ থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করবে, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। আমাদের অনেক সহপাঠী আঘাত পেয়েছে। পুলিশ যতই টিয়ারশেল নিক্ষেপ করুক, আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আহত ব্র্যাক শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়ার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালককেও গুলি করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোন অ্যাম্বুলেন্সকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।