ব্রেকআপের সিদ্ধান্ত নিয়েও অপুকেই বিয়ে করলেন ফারিয়া

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রাজধানী গুলশানে শনিবার রাতে একটি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আনন্দের এই দিনে উচ্ছ্বসিত ফারিয়া শোনালেন তার বিয়ের পেছনের গল্প। স্বামী হিসেবে কেন অপুকে বেছে নিলেন জানালেন সে কথাও।

শনিবার নিজের ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেন, ‘আমার বন্ধু অপু আর আমি আমাদের বন্ধুত্বের একটা সময় অদ্ভুত একটা টান ফিল করি, এবং প্রেমের সিদ্ধান্তে উপনিত হই! অপজিট অ্যার্টাক্ট বলে যে বিষয়টা থাকে তার পরিনামই হয়তো! কিন্তু তার বছর খানেক পর বিভিন্ন ঘটনার ফল স্বরুপ আমাদের মনে হলো আমরা বন্ধু হিসাবেই ভাল ছিলাম, সিদ্ধান্ত নেই আমরা সরে যাব! বাবা চলে যাওয়ার ১৫ দিন আগে জানি না কেন বাবা অপুকে বাসায় ডাকেন এবং আমাদের ব্রেকআপ এর বিষয়ে জানতে যায়!’

শবনম ফারিয়া আরও বলেন,‘ বাবার চলে যাওয়ার পর আমার মনে হলো বাবার অবর্তমানে যে মানুষটাকে আঁকরে সারা জীবন থাকা যাবে সে অপু ছাড়া কেউ না। সবচেয়ে বড় কথা বাবা চাইতো আমি অপুরেই বিয়ে করি। এবার পারিবারিক ভাবে ঘটনা আগায়। যার ফলাফল বিবাহ্! এই কথা গুলো লেখাটা যত সহজ ছিল, সে সময় ডিল করাটা ততই চেলেন্জিং ছিল! আজকে আমাদের সেই চেলেন্জিং টাইমটা কে আমাদের বন্ধু-বান্ধব দের নিয়ে সেলিব্রেট করলাম।’

তার হবু বরের পুরো নাম হারুনুর রশীদ অপু। একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি ফারিয়া-অপুর বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। তার আগে ২৬ জানুয়ারি হয়ে গেল মেহেদি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ফারিয়া- অপুর বন্ধুত্ব হয়। অপু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় ফারিয়াকে, সে গ্রহণ করে। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় তাদের মধ্যে। তিন বছর ধরে তাদের বন্ধুত্ব। অবশেষে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তেই তাদের বিয়ে।

অপরাধজাতীয়প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago