ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরে সংকট দ্রুত সমাধান চান হ্যারি ও মেগান

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ব্রিটিশ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। তাদের এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত রাজপরিবার হ্যারি দম্পতি ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান বের করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজপরিবারে তাদের ভবিষ্যত্ ভূমিকা নিয়ে এই আলোচনা দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী। ব্রিটিশ ও কানাডা সরকারের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠক ভালোভাবে এগোচ্ছে। সূত্রের বরাত দিয়ে পিএ নিউজ এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। সূত্র জানায়, সবার মতো হ্যারি দম্পতিও আশাবাদী যে, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধান আসবে। সবার স্বার্থে সমাধান বের করা জরুরি।

হ্যারি রাজপরিবার ছাড়লেও সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে তিনি ষষ্ঠ অবস্থানে থাকবেন। রাজপরিবারের সাবেক মুখপাত্র ডিকি আরবিটার বিবিসিকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা হবে রাজপরিবারে অর্ধেক থাকা আর অর্ধেক বাইরে থাকা। ৩০ বছর আগে আর্ল এবং কাউন্টটেস অব ওয়েসেক্স একই চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু সেটা সফল হয়নি। এই দম্পতি বেসরকারি খাতে তাদের ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক বিপত্তির মুখে পড়েন। এখন পূর্ণ সময় রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে তারা কাজ করছেন।

তার মতে, হয় আপনাকে রাজপরিবারে থাকতে হবে, না হয় পুরোপুরি ছাড়তে হবে। প্রিন্স হ্যারির জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে অনেক কাজ রয়েছে। সেটা তিনি আধা-আধি করতে পারবেন না।

হ্যারি ও মেগানের রাজপরিবার ছাড়ার ঘোষণাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রানির সঙ্গে এমন কিছু হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরের ‘রাজপরিবার’ থেকেও সরানো হয়েছে এই দম্পতির মোমের মূর্তি। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই মাদাম তুসো মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেছে, হ্যারি ও মেগানের মোমের মূর্তি আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের সঙ্গেই থাকত। তবে এখন আর এ জুটির মূর্তি রাজ পরিবারের সেটের সঙ্গে থাকবে না। সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

পদ ছেড়ে দেওয়ার পর রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ (সোভেরেইন গ্র্যান্ট) আর গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন হ্যারি ও মেগান দম্পতি। তারা এখন থেকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর জীবনযাপন করতে চান। তারা কীভাবে আয় করবেন তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, এই দম্পতি বই লিখে অর্থ আয় করতে পারেন। ইতিমধ্যে মেগান লেখালেখির প্রতি তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বিয়ের আগে তিনি লাইফ স্টাইল ব্লগে লিখতেন।

টিভি অনুষ্ঠান ও ফিল্ম থেকেও এই দম্পতি আয় করতে পারেন। মেগান আগে অভিনেত্রী ছিলেন। অন্যদিকে প্রিন্স হ্যারি মার্কিন মিডিয়া মুঘল অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যাপল টিভির জন্য একটি সিরিজে কাজ করেছেন। এ বছরই তা প্রচারিত হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েও আয় করতে পারেন এই দম্পতি।