প্রথম পর্বে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। উইকেট শিকারে ছিলেন অনেক পেছনে। ৩ ম্যাচে মাত্র ৪ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
কিন্তু চট্টগ্রামে গিয়েই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এ পর্বে তিন খেলায় সাকিবের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৬ উইকেট। আর তাতেই নিজ দলের ডোয়াইন ব্রাভো আর খুলনা টাইগার্সের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে সমান ১০ উইকেট করে পেয়ে উইকেট শিকারে যৌথভাবে শীর্ষে সাকিব।
পার্থক্য একটাই। ১০ উইকেট পেতে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব খেলেছেন ৬ ম্যাচ। আর তার দলের ব্রাভো এবং খুলনার কামরুল ইসলাম রাব্বি এক ম্যাচ কম খেলেই উইকেট শিকারে সাকিবের সমান।
বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শেষে এই তিনজনের পরই আছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তিন বোলার- নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম। ৭ ম্যাচে সমান ৯টি করে উইকেট পেয়েছেন তারা।
এরপর আছেন ঢাকার ক্যারিবীয় পেসার আন্দ্রে রাসেল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অফস্পিনার নাহিদুল ইসলাম। এদের দুজনার ঝুলিতে জমা পড়েছে সমান ৮ উইকেট। তবে নাহিদুলের চেয়ে আন্দ্রে রাসেলের দুটি ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে (নাহিদুল ৪ ম্যাচ, রাসেল ৬টি)।
ঢাকা পর্বে ২ ম্যাচে ৭ উইকেট পেয়ে সবার ওপরে থাকা সিলেটের নাজমুল অপু আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। তাই তার উইকেট বাড়েনি। তবে চট্টগ্রামে বল হাতে লঙ্কান অভিজ্ঞ পেস বোলিং অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরেছেন তিন স্থানীয় তরুণ তানভীর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম আর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তাদের সবাই পেয়েছেন সমান ৭ উইকেট।
এর মধ্যে খুলনা টাইগার্সের পেসার থিসারা ৭ উইকেট পেতে খেলেছেন ৫ ম্যাচ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ৪ ম্যাচে আর পেসার শহিদুল ইসলাম সমান ম্যাচে সমান ৭ উইকেট করে পেয়েছেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মৃত্যুঞ্জয় হ্যাটট্রিকসহ ৩ ম্যাচে ৭ উইকেটের পতন ঘটিয়ে নজর কেড়েছেন।
এছাড়া কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্সের মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনা টাইগার্সের ফরহাদ রেজা আর ফরচুন বরিশালের বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা ৬ উইকেট করে পেয়েছেন।
ফরচুন বরিশালের হয়ে চট্টগ্রাম পর্বে মাঠে নামা আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানও স্পিন ভেলকিতে মাঠ মাতিয়েছেন। এ রহস্যময় স্পিনারের উইকেট ৫টি (৩ ম্যাচে )। উইকেট খুব বেশি না পেলেও একদমই রান কৃপণ মুজিব। ৩ ম্যাচে তার ওভারে রান উঠেছে মোটে ৪৪। ওভারপিছু মাত্র ৩.৬৬।
এছাড়া বরিশালের ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার আলজেরি জোসেফ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আফগান পেসার করিম জানাত, সিলেটের সোহাগ গাজী, ঢাকার এবাদত হোসেন ও রুবেল হোসেন এবং সিলেট সানরাইজোর্সের পেসার তাসকিন আহমেদ সমান ৫ উইকেট শিকারি।