রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল তারকা খচিত এক দল নিয়ে খেলতে গেছে। নেইমার, কৌতিনহো, জেসুস, উইলিয়ানদের মতো তারকা আছে ব্রাজিল দলে। তাদের ভিড়ে ফিরমিনো, ডগলাস কস্তার মতো ফুটবলারদের শুরুর একাদশে জায়গা মেলে না। আবার রক্ষণে থিয়াগো সিলভা কিংবা মার্সেলো কম বড় তারকা নয়। এতো সব তারকার ভিড়ে ব্রাজিল কোচের বেশি আস্থা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কাসেমিরোর ওপর। রিয়াল মাদ্রিদে খেলা কাসেমিরোর দক্ষতায় ব্রাজিল কোচ তিতে যথারীতি মুগ্ধ।
কাসেমিরো যখন রিয়াল মাদ্রিদের যুব একাদশে ছিলেন তখন তার ওপর এই আস্থা ছিল কোচ আলবার্তো টরিলের। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ মরিনহো, আনচেলত্তি, জিদান আস্থা রেখেছেন কাসেমিরোর ওপর। এবার বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের প্রতি নিজের আস্থার কথা জানালেন ব্রাজিল কোচ তিতে।
ক্লাব কিংবা জাতীয় দল যেই কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন ভরসা করেছেন কাসেমিরোর ওপর। কারণ আক্রমণ এবং রক্ষণের সঙ্গে সমন্বয় করার কাজটা তিনি যেভাবে করতে পারেন তেমনটা অন্য কেউ পারে না। কাসেমিরোকে নিয়ে তিতে ফিফাকে বলেন, ‘রক্ষণে তার কাজটা একদম মৌলিক। কারণ সে বল নিচের দিকে আসতে দেয় না। আপনি যে কৌশলই সাজান না কেন, মাঠে খেলাটা সে নিয়ন্ত্রন করবে।’
এরপর কোচ বলেন, ‘আমি কখনো কল্পনাও করিনি সে খেলার মাঠে এভাবে কতৃত্ব করতে পারে। তাকে মাঠে দেখা দারুণ ব্যাপার। সে রিয়াল মাদ্রিদে যেভাবে খেলে সেভাবেই তাকে ব্রাজিলের হয়ে দেখতে চাই।’ ব্রাজির ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে বুধবার। ওই ম্যাচে কাসেমিরোর দলে থাকা নিশ্চিত। যদিও তার নামের পাশে একটি হলুদ কার্ড ঝুলছে।
তবে কাসেমিরো দলের জন্য পয়া। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে তার জুড়ি নেই। দেশের হয়ে কাসেমিরোর খেলা সর্বশেষ ২২ ম্যাচে ব্রাজিল কোন ম্যাচ হারেনি। ওই ২২ ম্যাচের মধ্যে ব্রাজিল ১৭ ম্যাচে জয় পেয়েছে, বাকি পাঁচ ম্যাচে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সেলেকাওরা। নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার ব্যাপারে কাসেমিরো বলেন, ‘দলকে সহায়ত করতে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই। ক্লাবের হয়ে আমি যে পেশাদারিত্ব নিয়ে খেলি দেশের হয়েও সেটা প্রয়োগ করতে চাই।’