রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়ক রদবদল করা হয়েছে। শুধু রাশিয়া বিশ্বকাপ নয়। ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থায়ী কোন অধিনায়ক রাখেননি দলটির কোচ। দলে সবার ভূমিকা সমান, সবাই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে এই দর্শক ছড়িয়ে দিতেই ওই পন্থা নেন তিনি। নেইমার, পাউলিনহো, মার্সেলো, থিয়াগো সিলভা, জেসুস, মিরান্ডাদের হাতে অধিনায়কের আর্মব্রান্ড তুলে দিয়েছেন তিনি। তবে এবার তিনি স্থায়ী অধিনায়কের দর্শনে ফিরে এলেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং সালভাদরের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ওই ম্যাচের জন্য নতুন-পুরনো মিশ্রনে ব্রাজিল কোচ দল ঘোষণা করেছেন আগেই। এবার ঘোষণা করলেন অধিনায়কের নাম। ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমারের হাতে অধিনায়কের বন্ধনী তুলে দিয়েছেন তিনি। কতদিন নেইমার দলের অধিনায়ক থাকবেন তা অবশ্য জানাননি। তবে মোটামুটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে।
ব্রাজিলের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে নেইমার বলেন, ‘আমি আবার ব্রাজিলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছি। কারণ দলের অধিনায়ক হয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং আরও অনেক কিছু শিখতে চাই। দলের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব হয়তো আমার জন্য অনেক ভালো কিছু হবে।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমার ছিলেন বেশ সমালোচিত নাম। প্রতিপক্ষের ট্যাকলে ড্রাইভের অভিযোগ ওঠে তার নামে। তিনি পড়ে গিয়ে যতটা না ব্যাথা পেয়েছেন তার থেকে বেশি অভিনয় করেছেন বলে সমালোচনা করেছেন অনেকে। তাই নেইমারকে ব্রাজিলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
তবে নেইমার সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আমার দিকে অনেক সমালোচনার তির ছোড়া হয়েছে। তাদের কথা বার্তা ছিল খুব রুক্ষ। আমি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর একদমই ঠিক ছিলাম না। তাই আমি যখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তখন কথা না বলাই ভালো। কারণ চুপ থাকায় মাঝে মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তর।’
নেইমার বলেন, ‘আমার অবশ্য বেশি কিছু বলাও নেই। কারণ আমি যে ধরণের ফুটবলার এগারোবার বল পেলে দশবার আমি বল নিয়ে সামনের দিকে ছুটি। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষ আমাকে ট্যকাল না করে কখনো একটা পাস দেওয়ার সুযোগ দিতে চায় না। আমি তো তাদের বলতে পারি না-এই এটা কি হলো, তবে আমি গোল করতে পারি।’