জার্মানির বিপক্ষে ব্রাজিলের জয়টা ১-০ গোলের। তবে স্বস্তির বটে। জার্মানির মাঠে নেইমার বিহীন ব্রাজিল আরো বড় জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে রাশিয়া-জার্মানিকে হারিয়ে প্রস্তুতির শুরুটা মোটেও খারাপ হয়নি সেলেকাওদের। ২০১৪ বিশ্বকাপে হারের পর রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকের ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতা এবং বার্লিনের এই জয় মিলিয়ে ব্রাজিল ‘মধুর’ প্রতিশোধই নিল।
তবে স্পেনের বিপক্ষে ড্র এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসুত ওজিল, মুলারদের বাদ দিয়ে খেলা জার্মানি এই ফলাফল নিয়ে চিন্তিত নয়। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে এমনই বক্তব্য ভেসে আসতে শোনা গেল। ম্যাচে অবশ্য ব্রাজিল-জার্মানির দু’দলই বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত হয়েছে প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে উঠতি তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে।
জার্মানির বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচটি ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে হারের পর দু’দলের মূল খেলোয়াড়দের প্রথম সাক্ষাৎ। ব্রাজিল সেই মূহুর্তটা জয়ে দিয়ে রাঙালো আর জার্মানি পেল ২২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ।
ব্রাজিল প্রথমার্ধের শেষটা যেখান থেকে করেছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ঠিক সেখানে থেকেই করেছিল। কৌটিনহো-জেসুস-পাউলিনহোরা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল কিন্তু গোল দিতে পারেননি। এরপরে অবশ্য জার্মানি ম্যাচের দখল নেয়। তবে জার্মানির করা ক্রস গুলো লক্ষ্যে রাখতে পারেনি গোমেজ-ওয়াগনাররা কিংবা ড্রাক্সলাররা।
জার্মানি ম্যাচের ৫৮ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছে। সফল পাস দিয়েছে ৫৮৩ টা। যেখানে ব্রাজিলের পাস ৪৩৮ টা। কিন্তু গোলের লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে সেলেসাকাওরা। ব্রাজিল গোলের লক্ষ্যে শট নিয়েছে মোট ৩টি। যেখানে জার্মানিরে গোলে শট বলতে ড্রাক্সলারের দূর থেকে করা একটি জোরোলো শট। এছাড়া সুযোগ তৈরির হিসেব ধরলে সেলেকাওরা দাপুটে খেলেই জয় তুলে নিয়েছে।