ব্রাজিলের কুতিনহো এখন পর্তুগালেরও

:
: ৬ years ago

লুইস সুয়ারেজের পথ অনুসরণ করে লিভারপুল থেকে শুধু বার্সেলোনায় আসেননি, কুতিনহো আরও একটি ক্ষেত্রে অনুসরণ করেছেন সতীর্থকে। সুয়ারেজের মতো তিনিও ইউরোপের এক দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন

শিরোনামে কোনো ভুল নেই। কারণ আজ বিকালেই পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মূল ভরসায় রূপ নেওয়া কুতিনহো এখন থেকে বহন করবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশের পাসপোর্ট। আর এতে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল বার্সেলোনাও। কারণ কী?

স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়মে কুতিনহোর বার্সেলোনায় থাকা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ স্প্যানিশ ক্লাবগুলো লিগে নাম নিবন্ধন করাতে পারে মাত্র তিনজন অ-ইউরোপীয় খেলোয়াড়। কিন্তু বার্সেলোনা এ বছরই ব্রাজিলের তিনজন খেলোয়াড় কিনেছে। জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলে কিনেছে কুতিনহোকে। এবার গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কিনল ম্যালকম ও আর্থারকে। জানুয়ারিতে বার্সা কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনাকেও কিনেছিল। সর্বশেষ দলে যোগ দিয়েছেন চিলির মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল।

বার্সেলোনা প্রাক-মৌসুমের শুরুতে বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলতে থাকা তাদের খেলোয়াড়দের অনেককেও ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজনই ব্রাজিলিয়ান নাগরিক। মারলন সান্তোস, ডগলাস ও রাফিনহা। ডগলাসকে এরই মধ্যে আবার ধারে খেলতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তুরস্কের একটি ক্লাবে। পাউলিনহোও চীনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

গত বিশ্বকাপে তিন গোল করে আলো ছড়ানো ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনাও বার্সা ছেড়েছেন গতকাল। তবু এ মুহূর্তে বার্সার স্কোয়াডে অন্তত ছয়জন অ-ইউরোপীয় খেলোয়াড় আছেন। সান্তোস, রাফিনহাকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে বার্সাকে। বাকি ছিল কুতিনহো, ম্যালকম, আর্থার ও ভিদাল। বার্সা এই চারজনকেই এবারের মৌসুমে চায়। এই সমস্যার সমাধান করতেই কুতিনহোকে নিতে হয়েছে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব।

কুতিনহোর স্ত্রী এইনি পর্তুগিজ নাগরিক। তাঁদের বিয়ের তিন বছরও হয়ে গেছে। আইন অনুযায়ী কুতিনহো পর্তুগালের নাগরিকত্ব নিতে পারেন। এর আগে লিভারপুল থেকেই বার্সেলোনায় আসা লুইস সুয়ারেজ একই কাজ করেছিলেন। ইতালিয়ান স্ত্রীর সৌজন্যে সুয়ারেজের ইতালির নাগরিকত্বও আছে। কুতিনহোও দ্বৈত নাগরিকত্ব নিলেন।

তবে ব্রাজিল সমর্থকদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কুতিনহো ব্রাজিল দলকে ছেড়ে যাচ্ছেন না। সুয়ারেজ যেমন উরুগুয়েকে বিদায় বলেননি। লিওনেল মেসি শৈশবেই স্পেনের নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে স্পেনের বয়সভিত্তিক দলে খেলানোর চেষ্টাও করেছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। সে সময় মেসি জাতীয় দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকেই বেছে নেন।