আন্দ্রে রাসেল, মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত ব্যাটিংয়ের সুবাধে বিপিএলের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। ১০ রানে ৪ উইকেট তুলেও ম্যাচ হারায় বোলারদের চেয়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতা বেশি দেখছেন ফরচুন বরিশালের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
২৩ রানেই তিন উইকেট ছিল না বরিশালের। সেখান থেকে গেইলকে নিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সাকিবের ২৩, গেইলের ৩৬ ও ব্রাভোর অপরাজিত ৩৩ রানে ১২৯ রান দাঁড় করায় বরিশাল।
মিরপুরের লো-স্কোরিং পিচে এই লক্ষ্য পাহাড়সমের মতোই। বোলিংয়ে নেমেই ১০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে বরিশাল। তাঁতে জয়ের আশাই দেখছিল বরিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে বরিশালকে। যা কিনা মানতে পারছেন না বরিশালের হেড কোচ। উইকেট আগের তুলনায় ভালো থাকায় গেইল-ব্রাভো সম্মিলিত দলের রান ১৫০ দেখতে চেয়েছিলেন সুজন।
“সত্যি বলতে আমরা যথেষ্ট রান করিনি। নিয়মিত উইকেট পড়েছে, টপ অর্ডারে কোনো জুটি হয়নি। এই ফরম্যাটে যদি ওপরের সারীর ব্যাটাররা রান না পায় তখন কঠিন হয়ে যায়। কারণ যখন উইকেট পড়ে যায় তখন বড় শট খেলার স্বাধীনতা থাকে না। আমার মনে হয় উইকেট আজ ভালো ছিল কিন্তু আমরা সঠিক প্রয়োগ করতে পারিনি। ১২৯ রান… হয়ত আপনি জিততে পারেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ভালো শুরু করেছিলাম (১০ রানে চার উইকেট) । কিন্তু ঐখান থেকে আর উইকেট ফেলতে পারিনি। যে কারণে তাঁদের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে। রিয়াদ আর শুভাগত ভালো ব্যাটিং করেছে এটা মানতেই হবে। রানটা কম হয়ে গিয়েছে… ১৫০-১৬০ করা উচিত ছিল আমাদের। আমার মনে হয় ব্যাটিং ব্যর্থতাই, আর কিছু না।”
বরাবরের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছে ফরচুন বরিশালের টপ অর্ডার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টপ অর্ডার ব্যাটারদের থেকে বড় স্কোর চান খালেদ মাহমুদ সুজন।
“আগামীকাল কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে আমাদের। আশা করি টপ অর্ডার থেকে কেউ বড় রান করবে। আজকের ম্যাচে যদি আমরা উইকেট না দিতাম বা ১০ ওভারে ৬০ রানও করতাম আমাদের মিডল অর্ডারে যে ব্যাটাররা রয়েছে তাঁতে সহজেই ১৫০ রান হতে পারত।”