মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি )বিপরীতে ঋণ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান । রবিবার (৬ জুন)) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পরিচালিত প্রিজম প্রকল্পের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এই অনুরোধ জানান।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে আতিউর রহমান বলেন, সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া সহজ করতে হবে। আর এ জন্য ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য ঝামেলায় না গিয়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এনআইডির বিপরীতে ঋণ দিতে হবে। একইসঙ্গে অনলাইনে কীভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ খাতের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম করলেও এখনও তা কার্যকর না হওয়াটা দুঃখজনক।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর সিএমএসএমই খাতের ৯৫ শতাংশ কারখানায় উৎপাদন বা বিক্রি কমেছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আগের পর্যায়ে আসেনি। পরিস্থিতির উন্নয়নে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সহজে প্রণোদনার ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। কেউ কেউ বলেন, উদ্যোক্তাদের যখন টাকা প্রয়োজন তখনই ঋণ দিতে হবে। তাই সহজ শর্তে সঠিক সময় ঋণ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
ওয়েবিনারে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতকে সম্প্রসারিত করার কোনও বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে আমদানিকারক দেশ থেকে রফতানিকারক দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। শিল্পোন্নত দেশ গড়তে এসএমই খাত ভূমিকা রাখছে। করোনায় এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদন বেড়েছে। এ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে প্রণোদনার আওতায় ঋণ দেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইইউর প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অনেক উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়াটা ইতিবাচক।
‘সিএমএসএমই খাতের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব ও পুনরুদ্ধার: বিসিক শিল্প নগরী থেকে প্রাপ্ত তথ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ও প্রিজম প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক ড. মনজুর হোসেন। গতবছর করোনার প্রভাব শুরুর পর বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত ২১৬টি শিল্প কারখানার ওপর পরিচালিত জরিপের আলোকে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। লকডাউন ও লকডাউন পরবর্তী এসব কারখানার উৎপাদন বা বিক্রি, আয়সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিজম কর্মসূচির টিম লিডার আলী সাবেত। সমাপনী বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী। এসএমই খাতের প্রতিনিধিকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিং বলেন, করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইইউর আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com