ব্যবসায়ীর চুল ধরে চড়ালেন ছাত্রলীগ নেতা

:
: ৬ years ago

এবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম  রনির বিরুদ্ধে একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালকের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার নগরের পাঁচলাইশ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টার ইউনিএডের পরিচালক মো. রাশেদ মিয়া। অভিযোগে রনি ছাড়াও নোমান চৌধুরী রাকিব নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একজন কোচিংয়ের শিক্ষককে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাশেদ মিয়া থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জিইসি মোড়ের ইউনিএড কোচিং সেন্টারের কার্যালয়ে ঢুকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রনি। চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে রনি তাকে মারধর করেন। গত ১৩ এপ্রিল সুগন্ধার বাসা থেকে বেরিয়ে পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর মাজার এলাকায় পৌঁছালে রনি ও নোমান তাকে টেনে হিঁচড়ে মুরাদপুর বুড়িপুকুর পাড় অ্যালুমিনিয়াম গলিতে তাদের অফিসে নিয়ে যান। এসময় তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এত টাকা তার কাছে নেই জানালে এ সময় রনি তার অফিসে থাকা হকিস্টিক দিয়ে রাশেদের বাম কানের উপরে আঘাত করেন। এতে রাশেদের বাম কানের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে রনিকে রাশেদের চুলের মুঠি ধরে বেধড়কভাবে চড়-থাপ্পর মারতে দেখা যাচ্ছে।

এ দিকে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে নুরুল আজিম রনি বলেন, রাশেদ মিয়া আমার ব্যবসায়িক পার্টনার। কোচিং সেন্টারে আমার ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ব্যবসায়িক হিসাব দিচ্ছিলেন না। আমার কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না। এসব বিষয়ে তার সঙ্গে আমার দূরুত্ব তৈরি হয়।

তবে রাশেদ মিয়াকে মারধরের কথা স্বীকার করেন তিনি।

এর আগে গত ৩১ মার্চ  চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহেদ খানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সমালোচিত হন রনি। ওই ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল নুরুল আজিম রনিসহ সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ জাহেদ খান।