প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। বুদ্ধ সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবজগতকে আলোকিত করতে কাজ করে গেছেন। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবনাদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বুধবার (২৬ মে ) শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বোধিজ্ঞান লাভের স্মৃতি-বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। এই দেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলো অত্যন্ত আনন্দ ও প্রীতির মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। এই বন্ধন ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে। আমাদের এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও আঘাত করেছে। আমরা করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সবাই বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল বয়ে আনুক- এ কামনা করছি।