ভিন্ন ধর্মে প্রেম করায় জীবন দিয়ে খেসারত দিতে হলো এক তরুণকে। মাত্র ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তার প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা। ভারতের রাজধানী দিল্লির আদর্শ নগরে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিজের এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব, সেখান থেকেই প্রেম হয় ওই তরুণের। কিন্তু মেয়েটির পরিবার সেটা মানতে নারাজ। ফোন করে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরে বাড়িতে ডেকে বেধড়ক মারধর করে তরুণীর পরিবার।
ওই তরুণের চাচা ধর্মপাল কুমার বলেন, ‘যখন ওই বাড়িতে যাই তখন দেখি চার-পাঁচজন মিলে মাটিতে ফেলে তার পেটে লাথি মারছে। তারা সবাই ওই মেয়ের পরিবারেরই সদস্য ছিল।’
ওই তরুণকে নিজেদের বোনের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন তার ভাইয়েরা। কিন্তু সেটা তোয়াক্কা করেনি ওই তরুণ। এরপরই বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওই যুবক টিউশন করে সংসারে বাবা মাকে সাহায্য করত। বাবা ট্যাক্সি ড্রাইভার। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিল ওই তরুণ। এই ঘটনার পর ওই তরুণীর ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই তরুণের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণের সঙ্গে যে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল তিনি ভিন্ন ধর্মের।