বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই চালু হলো কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থা

লেখক:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আলোকে আমদানি করা পণ্যের মূল্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্যের সঙ্গে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে সমন্বয় করা যাবে। এতে নিবাসী রপ্তানিকারক, আমদানিকারক কিংবা ট্রেডাররা বিদেশি প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনায় চুক্তিবদ্ধ হতে পারবেন।

রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিসঙ্গীর নামে কিংবা বাংলাদেশি পক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এদেশে এস্ক্রো হিসাব পরিচালনা করবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে পাওয়া আমদানি মূল্য জমা হবে। জমা করা অর্থের স্থিতি দিয়ে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে। এস্ক্রো হিসাবের স্থিতি নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশস্থ প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। বিদেশি পক্ষের মতো বাংলাদেশি পক্ষ বিদেশস্থ ব্যাংকে এস্ক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এস্ক্রো হিসাবে আমদানি বাবদ অর্থ জমার বিষয় আইএমপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। জমা করা অর্থ দিয়ে রপ্তানিমূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। তবে আকু পদ্ধতির আওতায় আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক লেনদেন কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা যাবে না।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেন ততটা প্রয়োজন হবে না। যেসব দেশের সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয় তাদের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারের কার্যকরী ভূমিকা রাখবে নতুন এ পদ্ধতি।