বেড়াতে নিয়ে গিয়ে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, আটক ২

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বরিশালের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে মঠবাড়িয়ার খেজুরতলা নামকস্থানে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে প্রেমিক ও তার সহযোগিরা। হত্যার পর ঐ ছাত্রীর লাশ বলেশ্বর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
১৯ নভেম্বর এ ঘটনার ১৬দিন পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তারা হলো- সিরাজ ও হাফিজ (১৪)।
সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুল্লাহ মো. নাসের জানান, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ অ্যান্ড টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের ছাত্রী ও বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের আলমগীর খানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার প্রেমিক সিরাজের সাথে মঠবাড়িয়ায় বেড়াতে যায়। মঠবাড়িয়ায় নিয়ে গিয়ে সিরাজ ও তার ফুফাতো ভাই নাজমুল ইসলাম নয়ন ওরফে সমীর কৌশলে সাদিয়াকে খেজুরবাড়ি এলাকার মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় কিশোর হাফিজ দেখে ফেললে তাকে ফাঁসানোর কথা বলে সিরাজ ও সমীর তাদের কথা মত চলতে বলে এবং হাফিজও ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। সাদিয়া ডাক-চিৎকার করলে সিরাজ ও সমীর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুম করার লক্ষ্যে বলেশ্বর নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পাশাপাশি নদীতে ফেলে দেওয়া হয় সাদিয়ার ব্যবহৃত মালামালগুলোও। তবে কানের একটি বলরিং খুলে রাখে সিরাজ। যা সিরাজকে আটকের সময় তার বসত ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আটক দুই আসামি সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন জানান, কলেজ ছাত্রী সাদিয়া নিখোঁজের পর তার বাবা আলমগীর খান একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি ওই ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, ২৩নং ওয়ার্ডস্থ তার শ্যালক জালাল হাওলাদারের বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সেই থেকেই ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২ ডিসেম্বর থেকে এসআই ওয়াহাবের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় এবং রবিবার তাদের মধ্যে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আসামিদের মধ্যে দুইজনকে আটক করা হলেও সমীর নামের আরেক আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।