বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রিটকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ), অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক।

এর আগে ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) একই দ্বৈত বেঞ্চ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের আইনজীবী মো. সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই সময়ে তারা কোনো শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।

নিবন্ধিত ও নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শতাধিক শিক্ষক প্রার্থীদের করা এক আবেদনের শুনানিতে ১৫ ডিসেম্বর এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ। ওই সময়ে তারা কোনো শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।

তখন সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন সময় পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছিলেন রিটকারীদের আইনজীবী মো. সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।

ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে।

কিন্তু দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করে রিটকারীরা।