আবারও বেল্ট লোডারের আঘাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়েছে। বেল্ট লোডার চালকের অসাবধানতায় উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গতকাল বেলা ১১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। ফলে ঢাকা-নেপাল রুটের ফ্লাইট দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোসাদ্দিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার দায়ে তত্ক্ষণাৎ একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরখাস্ত বেল্ট লোডার চালকের নাম আবদুল বারেক। বিমান সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিমানের ঢাকা-নেপালে ফ্লাইট বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি পূর্ণ আসন ভর্তি যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের অপেক্ষায় ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে লাগেজ ডোর বন্ধ করার জন্য বেল্ট লোডার ঘুরিয়ে সামনে আনার সময় ইঞ্জিনে সজোরে আঘাত লাগে। এতে মুহূর্তেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বিকট শব্দে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পাইলট ককপিটে বসে সেটা বুঝতে পেরে পাওয়ার অফ করে দেন। এ সময় যাত্রীদের জানানো হয়, ফ্লাইটটি নেপাল যাচ্ছে না। এরপর যাত্রীদের আনলোড করে অন্য একটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এ উঠানো হয়। আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে সেই ফ্লাইট নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। জানা যায়, উড়োজাহাজের লাগেজ ডোর বন্ধ করার সময় জোরে বেল্ট লোডার ঘুরানো হয় যে ইঞ্জিনে আঘাত লেগে যায়। এতে ইঞ্জিনের অনেকগুলো ব্লেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হ্যাঙ্গারে। বিমানের জিএসই বিভাগের ডিজিএম রাশেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও গত জুলাই মাসে অনুরূপ ঘটনায় বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ঘটনা নিয়ে তো কোনো হৈচৈ হয়নি। জিএম নজরুল ইসলাম ও পরিচালক ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিল ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ছুটিতে। অন্যজন অফিসে। গত জুলাইয়ে একজন বেল্ট লোডার চালকের আঘাতে একটি ৭৭৭ উড়োজাহাজ অচল হলেও বিমান দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে তখন ক্যাপ্টেন জামিলের অপসারণের দাবি উঠলেও বিমান রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ থাকে। উল্লেখ্য, বিমানের জিএসই বিভাগ পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন জামিলের অধীনে।