‘বেপরোয়া গতিতে বাঁক ঘুরতে গিয়ে পুকুরে পড়ে বাসটি’

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঝালকাঠির সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়া বাশার স্মৃতি পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ডুবন্ত বাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

জেলা পুলিশের উদ্ধারযন্ত্রের সাহায্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাছে অংশ নেয়।

 

বাসের আহত যাত্রী মো. রাসেল জানান, ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাস যাত্রী সংগ্রহের জন্য ধীরে ধীরে চলছিল। এ নিয়ে যাত্রীরা চালককে উদ্দেশ করে বিভিন্ন কথা বলে। এদিকে অনেকটা পথ ধীরে ধীরে চলার কারণে বাসটির গন্তব্যে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময়ের বেশিরভাগ শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ করে চালক মোহন হাওলাদার বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো শুরু করেন। পাশাপাশি পাশে থাকা নারী যাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছত্রকান্দায় পৌঁছে গতি না কমিয়ে বাঁক ঘুরে অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে উল্টে পুকুরে পড়ে যায় বাসটি।

 

রাসেল বলেন, ‘পরে স্থানীয়রা বাসের ভেতর থেকে আমাকে টেনে বের করে।’

 

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। পথে যাত্রী তুলে ৭০-৮০ জন নিয়ে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছলে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

 

স্থানীয়রা ছুটে এসে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও থানা পুলিশের দল পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ৩টার দিকে অভিযান শেষ হয়।

 

সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আহতদের সংখ্যা জানা যায়নি।