সর্বনিম্ন আয় শ্রেণীতে থাকা মানুষের বেতন ১ ডলার বাড়ালে তাদের আত্মহত্যা প্রবণতা শতকরা ৩.৫ ভাগ থেকে ৬ ভাগ পর্যন্ত হ্রাস পায় বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইস্কুলে যাদের শিক্ষা জীবন শেষ হয়েছে এমন মানুষের ক্ষেত্রে বেতন ১ ডলার বাড়ালে তাদের আত্মহত্যা প্রবণতা কমে যায়।
গবেষকরা ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের আয়ের হিসেব খুঁজে বের করে। বিভিন্ন রাজ্যে প্রতি ঘণ্টার আয়ের ভিন্নতা এবং আয় অনুসারে আত্মহত্যার প্রবণতা যাচাই করে তারা এর ফলাফল প্রকাশ করে।
গবেষণায় দেখা যায়, এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭৮ বার সর্বনিম্ন আয়ের পরিবর্তন করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ঘণ্টায় ১ ডলার আয় বাড়ায় আত্মহত্যা প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে ৩.৫ থেকে ৬ ভাগ।
অবশ্য শিক্ষিতদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ঠিকমত কাজ করে না।
এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রলিনস স্কুলের গণ স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করা গবেষণা দলের প্রধান জন কাফমেন বলেন, সর্বনিম্ন আয়ের আইন নিম্ন আয় করে যাওয়া এ সকল মানুষের সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সরাসরি ভূমিকা রাখে। আর সে কারণেই এই আয়ে হ্রাস বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বা কমবে তাদের হতাশা ও আত্মহত্যা প্রবণতা।
তিনি আরো বলেন, আয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি যেভাবে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব রাখে তা থেকে স্পষ্ট যে, ব্যক্তিক পর্যায়ে বা পরিবার ভিত্তিক যে কোন পরিবর্তন এনে হতাশা ও আত্মহত্যা প্রবণতা হ্রাস করার চাইতে আয় বাড়িয়ে এই প্রবণতা হ্রাস আরো সহজ হবে।
গবেষণায় আরো দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালে হাই স্কুল পর্যায়ে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২০৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় সম্পন্ন করাদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৭৬ জন। ডেইলি মেইল।